দুর ছাই, ভাল তো লাগে না আর, মন আইঢাই,
প্রাণ জেরবার। বিরক্তির ধার, যেন অবিরাম বেড়ে চলা
আগাছার ঝাড়। কাটে দিন, তাল হীন, তবলার বোল,
করে শোরগোল। টল মল চলা, এক গাল হাসি হেসে,
জীবনের সার্কাসে, দেখাই তারের খেলা। নিরন্তর বেজে যাওয়া,
উইন্ড চাইম হয়ে, ঝুলে থাকা কড়িকাঠে, টুং টাং ভাল আছি,
গেয়ে চলা বাজারে ও হাটে। তাল কেটে যায়,
ন্যাকা ন্যাকা ভালবাসা, পার্কের বাদাম ভাজায়।


ধর্মতলার মোড়ে, সস্তা পাউডার, ভিন দেশী ঘেমো বাস,
মিলেমিশে হয় একাকার। ফুটপাথে হাঁটা মানা, হকারের চেঁচামেচি,
পার হয় ধৈর্য সীমানা। জৈষ্ঠের প্রখর গরমে, পিচগলা রোদ আর
সপসপে জামা, দিনচর্যার বোঝা উঠেছে চরমে। কালো পরী ভিক্টোরিয়ার,
তাকিয়ে দিগন্তশেষে, কখন দু এক পশলা, ফেরাবে যে শান্তি আবার।
আমিও তাকিয়ে থাকি, প্রকৃতির পানে, আবার ভাসবে ধরা,
হবে যে শীতল, আষাঢ়ের সেই কলতানে। আবার ফুটবে হাসি,
বিরক্তির শেষ, জীবন লাগবে ফের ভালো, প্রগাঢ় মেঘের ফাঁকে,
উঁকিঝুকি দিয়ে যাবে, নবরাগ জাগানিয়া, ঝলমলে সূর্যের আলো।।