আজকাল কখনো সখনো আমি,
ভুল করে আমি হয়ে যাই।
আকাশবাণীর অপেক্ষায় থাকি না তো আর।
চাঁদ ডুবে গেলে পরে, ভোরছোঁয়া শিশিরবিন্দু কিছু
পড়ে থাকে চোখের পাতায়, আলুথালু হয়ে।
মুখোশের পাঠশালা, বন্ধ হওয়ার মুখে, বলেছিলো কেউ।
তাই আজকাল আমি, আমার মুখোশ পরে
কবিগান গাই গলা ছেড়ে।


বুড়ো বটগাছ জুড়ে, অনেক নতুন হাওয়া, রোজ ঘর বাঁধে
পুরনোর সনে। প্রেম ভালোবাসা মান, বয়ে যায় পাতায় পাতায়
একমুঠো রোদ কবে গোলাপ বাগানে গিয়ে,
পাঁপড়ির ঠোঁট ছুঁয়ে পণ করেছিলো ভালোবেসে।
এইসব জলছবি দেখি আমি প্রতিদিন,
আমারি দুচোখ দিয়ে, কখনো বন্ধ করে
কখনো বা মেলে।


তুমিও কি আজকাল তুমি হও?
নাকি ঠিক সেই আগের মতন?
স্বপ্ন দেখায় মানা এখনো কি রয়েছে তোমার?
জোছনার রাতে, রজনীগন্ধার বাস
এখনো কি ঘোমটায় মুখ ঢেকে চলে, অবহেলে?
তোমার অচিনপুরে, মুখোসের বেসাতির
এখনো কি চল বেহিসাব?


যদি বল না, একটা খবর দিও ভোরের হাওয়াতে,
তোমাতে আমাতে মিলে, ফের একবার
দেখব কেমন করে, ফুল ফোটে, পাখি গান গায়।
রবি জাগে পূবের আকাশে।
দেখব পরান ভরে, হাতে হাত রেখে।