কৃষ্ণচূড়ার লাল হাতছানি দেয় অভ্যেসে,
ন্যাতানো বিস্কিট হয়ে, চটুল গানের সুড়সুড়ি আর
বাসি হওয়া রজনীগন্ধার মালা, আঁকে যে আরেক ছবি।
কাক ভোরে আবছায়া ঘুম ঘুম আধোঘুম মন।


রঙ চটা রমনীর ছা-পোষা অভিসার, ক্লান্তির কোলেতে মাথা রাখে।
বেশ লাগা আরামের কয়েক ঘন্টা, আবার প্রতীক্ষার ক্ষণ।
আবার দুঃস্বপ্নের রাত, আবার শরীর ছেঁড়া মরন কামড় প্রতিদিন।


গরম ভাতের বাস, বুকের শিশুর হাসি, বাঁচতে শেখায় অবিরত।
কালি পড়া চোখ আর অকালে বুড়িয়ে যাওয়া দেহে,
এখনো লুকনো মন স্বপ্ন দেখেই চলে।


আপনার গৃহকোণ, নিকনো উঠোন,
যে পাষন্ড বেচেছিলো তাকে, প্রেমের নাটক করে,
এখনো স্বপ্নে সেই আসে ভালো মানুষের ছেলে সেজে।
হাতে হাত রেখে বলে সুখ কথা।


বাস ওইটুকু। সময় ফুরায়ে যায় আপন খেয়ালে।
বাসি রাত কেটে, প্রতিদিন সূর্য ওঠে, ভোর হয়।
সন্ধ্যেও আসে অবশেষে, রংমেখে।
বাতিল হওয়ার আগে জীবনে আসে না রোদ, সোনা রঙ নিয়ে।


তবুও সংসার স্বপ্ন পিছু ছাড়ে নাকো।
খালি বলে থাক, বেঁচে থাক।
নিজের কপাল নিয়ে, সমাজের মুখে জুতো মেরে বেঁচে থাক।
শুষে নিয়ে সকল গরল বেঁচে থাক।
বেঁচে থাক শিশুর হাসির সুখে।
তবু বেঁচে থাক, নীলকণ্ঠ হয়ে।