একে চন্দ্র


রাত ভর জেগে থাকা
চাঁদের কান্না যেন, জোছনার ধারা।
অবিরত বয়ে যায় সফেদ সাগর বেলায়,
ছুঁড়ে ফেলা মনোহরা মদের বোতল আর
প্লাস্টিকের স্তুপে, সাগর বিলাসী নিকাশী নালায়।


দুয়ে পক্ষ


পক্ষ পক্ষ কাল জুড়ে,
মাহিনা বৎসর হয়ে যুগ চলে যায়।
কাটে যে জীবন কাল, অবান্তর মানব জীবন।
মন্দির, মসজিদ ভুলে, চলো না ফোটাই হাসি অনাথ শিশুর মুখে।


তিনে নেত্র


তৃতীয় নয়ন মেলে
মহাকাল চেয়ে রয় ধরিত্রীর পানে।
একটু একটু করে জমা হয় পাপের পাহাড়।
কখনো এক অসময়ে, আবার ফাটবে মেঘ, আসবে প্লাবন।
ধুয়ে যাবে জনপদ, প্রাণের মিছিল, শিবের মূর্তি, বুকে নিয়ে ভক্তের পাপ।


চারে বেদ


বেদ-সার না বুঝেই লোকে,
হয়ে যায় চতুর্বেদী, বাজায় আপন ডঙ্কা।
বেদ শেখা ভেদ চাই নি তো, চেয়েছি মানব ধর্ম।
হিংসা, দ্বেষ, জ্বালা ভুলে, শুষে নাও জীবনের রস।
মানবতা ধর বুকে চেপে, তর্জমা তো শেখো ভালো করে!