পাঁচে পঞ্চবাণ


পঞ্চবাণের দিশা,
কখন যে ঘোরে কোন দিকে!
কখনো হৃদয়ে লাগে, কখনো ঘায়েল বিবেক
কখনো আত্মায় চোট, ষড়রিপু তবু থাকে বেঁচে।
পঞ্চবাণের তেজ ব্রাত্য হয়ে, যায় ভেসে আকাঙ্খার বানে।


ছয়ে ঋতু


ঋতু আসে ঋতু যায় চলে,
হলুদ সর্ষের ক্ষেতে পিচ্ছিল প্রজাপতি পাখা,
রোদমাখা ওম নিয়ে রেণু বয় ফুল থেকে ফুলে।
ঋতুর মিছিল বয়ে বুকে, ঝরে যাওয়া ফুলের হলুদে,
কখন বার্ধক্য আসে জীবনের মাঝে, ঋতুমতী থাকে তবু ধরা।


সাতে সমুদ্র


পাল তুলেছি সমুদ্রেতে,
আসুক ঝঞ্ঝা, সইবো সকল বুকটা পেতে।
দিগন্তে ঐ পারের খোঁজে বাইবো রে দাঁড় পরান সঁপে,
মরার আগে ছাড়বো না হাল, পৌছে যাবোই আলোর দ্বীপে।


আটে অষ্টবসু


দেবতা নাই বা হলে তবু,
কম হও কিসে, অদিতি, কাশ্যপ সুতগন?
ধরা বায়ু অগ্নি জল, ব্যোম চন্দ্র সূর্য তারা,
সকল সৃষ্টির মূলে আছো মিলে মিশে, কেবল আত্মাটি ছাড়া।
আত্মা পরম কথা, তাও বলি কম নও, দেবতা নাই বা হলে তবু।


নয়ে নবগ্রহ


গ্রহের ফেরে পড়লি কেন?
হস্তরেখায় জীবন লেখা মেনেই ম’লি!
কাজের বেলায় লবডঙ্কা, ভাগ্যটাকে আংটি দিয়ে ধরতে গেলি।
গ্রহও জানিস দিক বদলায়, গায়ের ঘামে, শুদ্ধ চাওয়ায়, ভালোবাসায়।


দশে দিক


এদিক সেদিক দশ দিকেতে,
চলছে জোয়ার অবক্ষয়ের, সমাজ জুড়ে।
খুঁজতে গিয়ে রোদের ছোঁয়া, আঁধার মেলে শীত লহরে।
জান পরেশান, মনটা ডোবে অথই জলে, তার মাঝেতেও,
সামলে রাখি আশার প্রদীপ বুকটা দিয়ে, আসবে সুদিন এক ভোরেতে।