.       কুন্ঠিতা আমি অবগুণ্ঠিতা, রবির কিরণে ভীত,
        আঁধার সয়েছি, লুকিয়ে রয়েছি, সমাজের চোখে মৃত।
        অন্তরে মোর, ব্যথার সাগর, জীবন অন্ধকার,
        প্রতিটি সকাল, প্রতীক্ষা কাল, মৃত্যুর পারাবার।
        রূপসী পৃথিবী, সুন্দর সবি, আমিও অষ্টাদশী,
        কার অভিশাপে, সই অনুতাপে, কালের অট্টহাসি।
        ভালোবাসা ভরা, ছিল এই ধরা, ছিনু সুখি সন্তান,
        বাবা মার স্নেহে, মজার কলহে, কেটে যেত দিনমান।
        ছোট ভাই এসে, গলা ধরে হেসে, ডাকতো ও দিদি দিদি,
        কত মায়াময়, ছিল সে সময়, পড়া খেলা নিরবধি।
        কলেজের দিন, কত যে রঙ্গিন, কাটছিল তাড়াতাড়ি,
        গান শেখা পালা, নাচের মহলা, বন্ধুর ভাব আড়ি।
        বুঝিনি তখনো, ভাবিনি কখনো, ভাগ্যের পরিহাস,
        ছোঁবে মোরে এসে, কালনাগ বেশে, পাগলের সন্ত্রাস।
        বেরোলে পথেতে, জানি কোথা হতে, হত তার আগমন,
        না চাই শুনতে, না চাই দেখতে, তবু কি আস্ফালন।
        ঘৃণার বাক্যে, বিঁধেছি তাহাকে, তবু ছাড়ে নাকো পিছু,
        শেষে এসে বাবা, করলে যে কিবা, সুরাহা তাহাতে কিছু।
        কিছুদিন গেল, কাটছিলো ভালো, একদিন শনিবার,
        এসে সম্মুখে, ছূঁড়লো কি মুখে, জ্বলে যায় চারিধার।
        জ্ঞান এলো যবে, বুঝলাম তবে, সর্বনাশের কথা,
        গলে যাওয়া মুখে, আয়নার বুকে, ওটা কে দাঁড়িয়ে হোথা?
        গেছে একচোখ, ভয় পায় লোক, হঠাত হলে যে দেখা,
        কাঁদে বাবা মায়, করে কি যে হায়, একি বিধাতার লেখা।
        এ জীবনে মোর, হয় নাতো ভোর, নেই বাঁচবার সাধ,
        শুধু ব্যথা মনে, মেয়ে হয়ে ভুবনে, জন্মানো অপরাধ?