সের’ম ভাবে দেখতে গেলে, ঠিকই আছে,
প্রেমের গরু উঠছে গাছে। প্রেমটা ছিল, সত্যি ছিল,
যেমনটা হয়, একটা ছেলে একখানা মেয়ে,
খুব মনে ভয়, ফেলল দেখে এই বুঝি কেউ।
হৃদয়ে ঢেউ, প্রেমের বাতাস, হাফুস হুফুস
দীর্ঘশ্বাস। তারপরেতে ফুস মন্তর, জীবন সমর
সেই ছেলেটা লড়তে গেল, খেই হারালো
প্রিয়জনের। একখানা মেয়ে, করলো,
না না, হোল বিয়ে। যেমনটা হয়?


মন্দ তো নয়। জীবন এখন চলছে ধেয়ে
রমরমিয়ে। প্রতিদিনের বাজার হাটের
ক্যাঁচক্যাচানি, ঘেমো শরীর, বৌয়ের সাথে
খিটির মিটির নিত্যদিনই। বিজলি, ফোনের
বিলের লাইনে, পর্যুদস্ত । মাস ফুরোলে
তবেই মাইনে। দারুণ ব্যস্ত। তবু হঠাত
একা কোন সন্ধ্যেবেলার লোডশেডিংয়ে,
মন চলে যায়, ভাসিয়ে কোথায়
প্রেমের ডিঙ্গে। গলায় ঢেলে পেগ দুই চার
তরল আগুন, আপিস ভোল, ভোল পেঁয়াজ
উচ্ছে বেগুন। হেঁড়ে গলায় গাও ফাটিয়ে
ব্যথার গজল। চক্ষু সজল। (বৌ লুকিয়ে,
জানলে ভীষণ হবে ইয়ে)। প্রেমের থাবা,
মজনুর চেয়ে কম কিসে বা? কথা জড়ায়,
সাপ্তাহিকী মাংসভাতে রাত কেটে যায়।


তবু ভালো, ওদিক পানে আরেক নারী
শরীর ভারী, টানছে ঘানি পরিবারের
ঠেলছে হাঁড়ি। মেয়েকে শোনায় গল্প গাঁথা,
পিতৃ পাড়ায় অমুক দাদা, বাসতো ভালো
ভীষণ মোরে, দাদার মতন, আদর যতন
করত খুবই, বোনটি বলে লিখত চিঠি,
বলছি সবি। নেই যোগাযোগ আজ বহুকাল,
হচ্ছে নাকাল, করে বিয়ে। বৌটা বেকুব,
ঝগড়ালু খুব, ঘোরায় ছড়ি, খায় জ্বালিয়ে।


এমনি করেই কথার কথায় দিন যে কাটে।
জীবনটা যায় বয়স পালায় বাজার হাটে।
ফুরিয়ে যাওয়া দিনের কথায় হাসছে সময়,
ডান্ডা প্রেমের পড়বে তবু ঠিক সপাটে।।