মাঝে মাঝে পোকা কামড়ায় যেন,
থিতু হওয়া সয় না তো আর।
বিশেষত্বর একঘেয়েমি ভেঙ্গে,
সাধারণে মেশার সে টান, বড় দুর্বার।


ফ্যাল ভেঙ্গে কমফর্ট জোনের দেওয়াল,
মার টান শেকড়টা ধরে, ভাসা নাও ঘূর্ণির জলে।
মরবি তো একবারই, ভয় কেন মনে?
আতি পাতি সুখের পায়রাগুলো  
আর তো ডাকে না বক বকম বকম।
ফিনিক্স হওয়ার নেশা দেয় হাতছানি,
কানে কানে কুমন্ত্র দেয় সারাদিন সারারাত।
মনের গভীরে থাকা গুটিপোকা নড়ে চড়ে,
ডানা মেলে উড়ানের সময় জানায়।


তথাপি মনের কোনে বয়েসের লালবাতি জ্বলে।
শরীরটা হেঁকে বলে, অনেক তো হল ভায়া,
মেঘে মেঘে বেলা হলো বেশ।
রক্তচাপ, মধুমেহ, কোমরের ব্যথা,
দাঁত বার করে হাসে ছ্যাবলার মতো।
ভীমরতি হলো নাকি? শুধায় আমাকে।
বড়ই দোটানে ভরা যাপিত জীবন।
সুখ দুখে রশি টানাটানি চলে অবিরাম।


সময়ের হাত ধরে তাই শুধু টিকে থাকা,
পোকাগুলো ঝেড়ে ফেলে বেঁচে থাকা
ভদ্দরলোক হয়ে, কালক্ষয় করা।
হাসিমুখ নিয়ে শুধুই এগিয়ে যাওয়া,
ভবিতব্যের পানে।
শুধু পথ চলা।