ষ্টেশনের ধারে, লাশকাটা ঘরের পেছনে,
মৃত্যুর মুখোমুখি। সাঁঝবাতি তলে,
কুসঙ্গের নিবিড় আঁধার এসে জমেছিল হিমেল বাতাসে।
সময়ের কিছু খেলা পাপ নিয়ে, কিছু ফের হাসি হাসি মুখে।


শাল পিয়ালের নীচে, হাত ছোঁয়া প্রেমিকার মতো,
অপাপবিদ্ধ দিন (দুর্লভ যদিও) বেঁচেছিল বুকে নিয়ে
অস্ফুট গোপন এক কাম,
খুঁজেছিল তার নিরাময়।


সে এক বড়ই জটিল সুড়ঙ্গ, প্যাঁচ খেয়ে ধীরে ধীরে,
নিয়ে চলে আমাদের বহুদুর কোথায় কোথায়।
নিম্নগামী প্রাণ,
উথাল পাথাল হয়ে বেঁচে থাকে গাঢ় অন্ধকারে।


লাশকাটা ঘরে, হৃদয়ের ব্যবচ্ছেদ করাটা সহজ নয়,
তাই তো নেশায় হই চুর।
মাতাল না হলে,
গোপন আঘাতগুলো ভীষণ স্পষ্ট ভাবে,
চোখে এসে লাগে।


নাগরদোলার মত, ঘন ঘন শ্বাসে ঢাকা পড়ে,
অবৈধ আবিলতা।
গোপন মিথ্যের সাজি সাজিয়ে সাজিয়ে,
নিজের ভালোত্ব খুঁজি অপার বিশ্বাসে।
বোঝাই নিজেকে আমি, আমার সততা ।


অমোঘ ফেরার টান পিছু ডাকে।
আবার জোয়ার আসে ইড়া, পিঙ্গল, সুষুম্নায়
প্রত্যাবর্তনের পালা হতে হবে শেষ,
সূর্যোদয়ের আগে।
শঙ্খধ্বনির সাথে,
পূজায় বসার ক্ষণ সমাগত প্রায়।।