এলোমেলো স্মৃতিদের হাতে, অযথাই বিপর্যস্ত হওয়া
কার ভালো লাগে?
নয় কোন প্রেমিকার স্মৃতিকথা। এ তো শুধু
ফেলে আসা, ভুলে আসা,
সেই সব সোঁদা গন্ধি বড় হওয়া স্মৃতি।
ইট কাঠ পাথরের জীয়ন্ত হয়ে ওঠা,
টিসটিসে বেদনার স্মৃতি,
গরম দুপুরে কিম্বা আবছায়া সন্ধ্যেয়,
শৈশব কৈশোর হারানো স্মৃতি।


মোরামের রাস্তায়, সময়ের হাত ধরে
চলা খালি পায়ে,
গ্রীষ্মের দুপুরেতে, কুয়োর পারের ভূত
উঁকি মেরে খোঁজা।
পুরনো কাঠের খাটে,
পাশ ফেরা শব্দের, রাতভর শোনা রূপকথা।
ইজি চেয়ারের কোলে, গুটিসুটি মেরে বসে
রেডিও নাটক গেলা।


কত শত কথা মনে আসে,
ফিরে আসে দু হাত বাড়িয়ে।
বদলানো বাড়িটায়, কখন স্বপ্নে এসে
ভাঙ্গা খাট হাত ধরে বলে-
কত বড় হয়ে গেলি! কেমন আছিস খোকা?
পুরনো রান্নাঘরে, গুলের উনুন এসে
ওম দিয়ে যায় ভালোবেসে।
ইজি চেয়ারের মুখে,
ফুটে ওঠে পবিত্র মায়ার হাসি।
আমডালে বাঁধা দোলনাটা,
চুপি চুপি ডেকে চলে যায়।
বাবার জিনিষ রাখা কাঠের সে আলমারি
মমতায় টেনে নেয় বুকে।
ভেতরে আজো সে বাস,
পুরনো কাগজ আর বাবার নস্যি মেশা।


ভোল পালটানো এই সময়ের মাঝে,
আজো ওরা বেঁচে আছে খুব বেশী করে।
এবং থাকবে বেঁচে এ জীবন কাল,
আসবে আপন মনে ফিরে ফিরে ভালোবাসা নিয়ে,
আবার করবে এলোমেলো।

বিপর্যস্ত হওয়া, হয় তো ভালোই লাগে কখনো সখনো,
ভালো লাগে দুচোখের জল...