হিংসেগুলো বাড়ছে দেখ কাঁচ বয়ামের লেবেঞ্চুসে,
গ্রামের মাঝে পথের ধারে তিতকুটে স্বাদ চায়ের কাপে।
আড্ডা চলা দোকান ঘরে সাঁঝের ধুঁয়ো উঠছে ফুঁসে,
গেঞ্জি ছেঁড়া বুকের বাতাস উষ্ণ কেন ভুলের চাপে।


হিংসেগুলো ছড়িয়ে গেছে ধানের শিষে বিলের জলে,
বিষাক্ত এক নেশার ঘোরে মহুল বিনা সবাই মাতাল।
আজকে সবাই মারকুটে ভাই একা কিম্বা সদলবলে,
হিংসেগুলো রঙ মেখেছে কোথাও সবুজ কোথাও বা লাল।


গোবর লেপা ঘর আঙিনায় উদোম শিশু হিংসা শেখে,
চৌমাথাতে বটের নিচে মন্ত্রণা দেয় রাতের আঁধার।
খিদের পেটে ভাতের গরাস নামছে নিচে রক্ত মেখে,
রোদ ঝলমল সরল মনে ভরছে দেদার প্যাঁচ পয়জার।


মেঠোপথে হিংসে ঘোরে, হিংসে ছড়ায় মুঠোফোনে,
হিংসে বিকোয় বাজার হাটে হিংসে শেখায় গ্রামের দাদা।
মন খারাপের মিহিন দুপুর মহুল পাতায় শালের বনে,
বইছে রাগের ঝঞ্ঝাবায়ু, সব ভুলেছে সহিষ্ণুতা।


অসীম দয়া রাজনেতাদের বীজতলাতে হিংসে বোনে,
সূর্যোদয়ের স্বপ্ন দেখায় ভাইয়ের খুনে সিনান করে।
গাঁয়ের মাটি গাঁয়ের হাওয়া সকাল দুপুর প্রমাদ গোনে,
হিংসেগুলো হচ্ছে জমা টাঙ্গির ফলায় ধনুক তীরে।।