.       কোথাও একটা ক্লান্তির ঢেউ চলে,
        দিন মাহাত্ম্যে কবিতা লেখার পালা।
        একঘেয়ে সব। কাগজও তো কথা বলে
        মেকী প্রশংসা শুনে কানে লাগে তালা।


        কখনো তো ভাবো নতুন কিছুর কথা!
        সেই চাঁদ ফুল প্রেমিকার বাঁকা হাসি,
        বহু বার শুনে কর্ণপটহ ব্যথা
        সেই ন্যাকা প্রেম সেই নেকু ‘ভালবাসি’।


        তার চেয়ে ভাল খিদের কবিতা লেখো,
        বুক ভুলে গিয়ে পেটের জ্বালায় নামো।
        রঙ্গীন চশমা সরিয়ে বাঁচাটা শেখো,
        সুগন্ধী হবে খাদ্য জোটানো ঘামও।


        যাও ভুলে নিশি রাত ও জোছনা গাঁথা,
        বিস্মৃত হয়ো প্রেম ভরা মূর্ছনা,
        হিম ঝরা রাতে গরীবের ছেঁড়া কাঁথা,
        জোটে ভালো, নয় ভাগ্যের লাঞ্ছনা।


        কবিতায় লেখ কিশোরী মায়ের গল্প
        প্রতি দিন লড়া, বাঁচার রসদ খোঁজা!
        অসুস্থ দেহ, কাজ তবু নয় অল্প,
        পিঠে শিশু আর মাথায় ইঁটের বোঝা।


        কাব্যে এবার বাস্তব ছবি হোক
        না হোক জটিল না হোক রসোত্তীর্ণ,
        কবিতার ঘায়ে চমকে উঠুক লোক
        চোখ মুদে থাকা বিবেকটা হোক দীর্ণ।


        গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসিয়ে কাব্য
        গড়ছ এ কোন অলীক ঠুনকো দেশ,
        পেট ভরে গেলে প্রেম নিয়ে ফের ভাববো
        আজ প্রতিজ্ঞা দেখব খিদের শেষ।।