আমি ঈশ্বর…
ঈশ্বর নাথ দাস, পুরো নাম।
সাকিন ঐ ভাঙ্গা নদী পার।
ভেড়া চরিয়ে খাই, সাথে থাকে নীলাকাশ
সবুজ সবুজ রঙ আদিগন্ত ঘাসের আবাদ।


আমারো ঈশ্বর আছে।
ভালবাসে, কথা বলে, ছুটি হাত ধরে।
এই তো সেদিন, বললে আমায় ডেকে
ভাঙ্গা নদী থেকে, দে না ধরে দুটো মাছ
বলি প্রভু, মাছে কি বা হয়…
নাও না বরং এক অমূল্য ভেড়া উপহার
করব রক্তস্নান, ধোব পাপ।
চর্বিগুলো জমিয়ে জমিয়ে,
বানাবো মশাল এক।
কোন এক শহুরে অন্যায়ে,
জ্বালিয়ে হাঁটবে লোক
ভেড়া সেজে কোনো রাজপথে।


আমি ঈশ্বর…
ঈশ্বর নাথ দাস, পুরো নাম।


আমার চাঁদও আছে...
হুটোপুটি করে, রাত জুড়ে কুটিরে আমার
নীল জোছনায় চান করে, আমায় শোনায় গান।
শোনায় ফুলের গান, শোনায় কাঁটার গান
বিপ্লব শেখাবে বলে শোনায় ঘুমের গান
মাঝে মাঝে আড়ি হলে পরে,
শোনায় প্রেমেরও গান।


আমি ঈশ্বর…
ঈশ্বর নাথ দাস, পুরো নাম।


আমার নিজস্ব, জেনো কত কিছু আছে
ফুল আছে, গন্ধ আছে, হাওয়া আছে
বুকেতে আগুন।
ছন্দ আছে, কাব্য আছে প্রাণ আছে,
নিজস্ব জীবন আছে এক।
শুধু নারী নেই...
আর তাই বুঝি দুঃখ নেই, কষ্ট নেই
কলহ বা অশ্রু নেই, ঈর্ষা নেই
নেই সন্দেহ। পাপ নেই, পুণ্যি নেই
পূজা নেই, প্রেম নেই
নেই ভালবাসা।


আমার শুধুই নারী নেই
আর তাই বুঝি সুখ নেই বুকে...


আমি ঈশ্বর…
ঈশ্বর নাথ দাস, পুরো নাম।