ঈশ্বর খোঁজ বাবা ঈশ্বর। এই পোড়া সংসারে ঝাড় খেয়ে খেয়ে পেছনে তো কড়া পরে গেল, এবার নতুন কিছু চাই বাঁচার জন্যে। ঐ যেমন টিভিতে ঘেঁতিয়ে ঘেঁতিয়ে বাঘা সিরিয়ালগুলো এক সময় সবার অজান্তে মরে আর নতুন কোন সিরিয়াল আমাদের সাঁঝ সুতরো করে? তেমনি আর কি।


আমি বলি বেড়িয়ে পড়, দাদ হাজা অম্বল ছিঁচকেমি পেছনে ফেলে অনিশ্চিতের খোঁজে। পাছুতে জিনসের বদলে নেংটি, (ছিঃ নেংটি বলে না, কৌপীন) ঠিকাছে ঠিকাছে, ওখানে কৌপীন, হাতে কমন্ডুলু আর চোখ ঢুলুঢুলু। ঢূলুঢূলু হওয়াটা কিন্তু জরুরী। অসুবিধে নেই, শুধু পেটে রাম ও মুখে রামনাম থাকলেই হবে। অভাবে অবশ্য গাঁজাও চলতে পারে। শুধু পায়ে খড়মের ব্যাপারটাই চাপের। তবে হাওয়াই চটি চলবে পরিবর্ত হিসেবে। আজকাল তো আবার হাওয়াই চটিও শুনেছি জাতে উঠে গেছে।


কাজেই আর বেশী না ভেবে বেরিয়ে পড় অলখ নিরঞ্জন বলে। আর হ্যাঁ, পারলে রহস্য করাটা রপ্ত করে নিস। সোজা কথা বলা বারণ, বাঁকা কথাটা আরো বাঁকিয়ে, আর না বলা কথাগুলো বলতে হবে সোজা করে। মোদ্দা কথা, কথা যেন কেউ না বোঝে। খানিকটা আমাদের আধুনিক কবিতার মতই। ধরি ধরি করি ধরিতে না পারি টাইপ। মানেটা ধর্মও হতে পারে আবার জিরাফও হতে পারে। তুই বলবি এক লোকে যেন বোঝে একশ। মুখের কাছে আসবে আবার ফস্কেও যাবে। সবার মনেই অনুরণন / আপনা ভাবকে করবে বরণ। তোর কাজটা শুধু খোঁচানোর। বুঝলি না তো? আমি জানতাম তোর হবে। আরে এই না বোঝাটাকেই পাস অন করে দে, তাহলেই কেল্লা ফতে। কি বললি, খাওয়ার চিন্তা? এই গরীবের দেশে ওস্তাদ আজ অবধি কোন বাওয়ার খাওয়ার প্রবলেম হয় নি। তোর কথার ঘূর্ণিপাকে লোকে মরবে পাক খেয়ে, আর তুই খাবি পাকশালায় পক্ক দেশী ঘিয়ের পাকোয়ান।


রহস্যটাই সব বুঝলি, সৃষ্টির রহস্য, প্রকৃতির রহস্য, আকাশের রহস্য, মাটির রহস্য কিম্বা কেলে গরুর সাদা বাছুর হওয়ার রহস্য। ছড়িয়ে দে রহস্যটাকে, মায়াবী কথার মায়াজালে ফাঁসুক সহজ মন, তাহলেই মোক্ষলাভ। ছুটুক কথার ফুলঝুড়ি। বৃষ্টির মত, ঝর্ণার মত, হরিণের মত, ভ্যানভ্যানে মাছির মত বয়ে যাক ছড়িয়ে যাক কথা রহস্য বা রহস্যের কথা।


ঠিক এই ভাবে দেখিস এক সকালে ঈশ্বর খুঁজে পাবি, তুই তোর মত করে, আর যারা বিশ্বাস করে তাঁরা তাঁদের মত করে...