ঋণের বোঝা বাড়ছে কেমন, মাথার ওপর বসছে চেপে
দিন প্রতিদিন। বলব কি আর, আয়ের থেকে ব্যায়টা বেশী
হাতখোলা ভাব, স্বভাবে নেই দিন কাটানো খরচা মেপে
থাকুক না ধার, নেই পরোয়া আয় না বসে খাই বিদেশী।


দিশী আবার সহ্য হয় না বদহজমের রোগের বালাই,
তার ওপরে গন্ধ বেজায়, বেরনো দায় বাজার হাটে।
যা বলছিলাম, ঋনটা ভাল, থাকবে চাপে। চাপটা যে চাই
নইলে ও ভাই, হেদিয়ে যাবে। কদিন পরে উঠবে লাটে।


আর তাছাড়া ধার বাকিটা রক্তে আছে, সকল কাজে
চাই যে উধার। পয়সা টাকা, খরচাপাতি আছেই সে তো।
বাদ বাকি সব? লেখাপড়া বিদ্যার্জন? বলছি না যে
সেটা নগদ। পরীক্ষাতে মিত্রমগজ, উত্তর সব ধারেই হত।


গল্প প্রেমের, করব প্রপোজ, সাহস উধার বন্ধু থেকে,
বলব কি আর কেমন করে এধার ওধার প্রেম করেছি
রেস্ত বিনা। পুরোটা ধার। বলত, গেছে এঁচড় পেকে
বিয়ের পরে সুখের জীবন, ধার বাকিতে তাও সেরেছি।


খুব বেশী যে চিন্তা করি এসব নিয়ে সেটাও তো নয়,
ধার চুকোনোর চিন্তা আসে হাতে যখন গেলাস ওঠে।
চড়লে পরে দার্শনিক তো! তা নইলে আবার কি ভয়?
বাঁচছি ধারে, বেশ করেছি, ধার নেওয়াটাও শিল্প বটে।