চেনাজানা মানুষগুলোও কেমন যেন
পালটে যায়। নিয়ম করে।
সাল বদলের মত প্রায়।
নতুন একখানা হাসি বেমালুম মুখে সেটে বলে
ভালো আছো?


দু চোখ মেললে আর ভেসে ওঠে না নতুন কোন জলছবি।
পুরনো স্বপ্নেরা সব, এঁটো চায়ের ভাঁড়ের মতই
লুটোপুটি খায় চারিপাশে।
শীতের আকাশে মেঘ আসে না মোটেই।
মনেও না, ওখানে শুধুই কুয়াশা, শুধুই দ্বন্দ্ব...
তাই বুঝি প্রেম আসে না,
ঠা ঠা করে হেসে ওঠা অট্টহাসি আসে না,
আর আসে না কবিতা।


বাজারে ও জীবনে বড় ধুলো আজকাল।
মটর শুঁটির দামের মতই, প্রেমের ইচ্ছেটাও যেন...
কচুরী আর প্রেম দুয়েতেই ইদানীং বদ হজমের ভয়।


নীল পদ্ম বা জীয়ন কাঠির বড় খায়েশ ছিল মনে।
সাধ ছিল এক ময়ূরপঙ্খীতে চড়ার।
নিদেন পক্ষে একটা পক্ষিরাজ।
শরীরে আগুন ছিল,
তাতেই কবে যে সব ইচ্ছে পুড়ে ছারখার।


ছেঁড়া ছেঁড়া বিষণ্ণতা পার হয়ে ভাঙ্গে শীতঘুম।
এবং শীতঘুম শেষে,
পালটে যাওয়ার প্রথা অনেক পুরনো।
আমিও পালটে যাবো, গেলাসের মদ শেষ হলে।
আঁচলের গিঁট থাক, প্রার্থনা, প্রতিশ্রুতি,
নীরব চোখের জল, থাক ভালোবাসা।
আমিও বদলে যাবো। এরই মাঝে, খুব তাড়াতাড়ি।
শীতঘুম শেষে।