আমার কল্পিত ঘোড়া ছুটে চলে অশ্রান্তে,
সাথে নিয়ে কল্পনা দূরে বহুদূরে।
নিদ্রাহীন রাতে অথবা অলস দুপুরে।
হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় অবাক বিস্ময়ে
কোন এক অদৃশ্য লাগাম-
টেনে ধরে রুদ্ধ করে পথ।
সে কি আমি (!) আমার অবচেতন মন?


আবার স্বপ্ন দেখি আবিষ্ট কল্পনায়
কল্পনার রাজ্য। যেখানে সবাই রাজা, স্বাধীন।
সেখানেও আমি প্রজা, পরাধীন।
কল্পনার আশ ভেঙে যায় নিগূঢ় কল্পনায়
ঘটায় অপমৃত্যু অসংখ্য ইচ্ছার।


জেগে থেকেও স্বপ্ন দেখা যায়?
দেখি আমি, বাস্তবতার অগোচরে-
অথবা পাশ কাটিয়ে কলনায় ভর করে।
কল্পনা হেরে যায় দূর্বার বাস্তবতায়।
অবাক বনে যাই বাস্তবতার ধৃষ্টতায়।
নিংড়ে বেরিয়ে আসে অবধ্য শূন্যতা
হাসে নিষ্ঠুর হাসি।
অতঃপর আমি শূন্যতায় পূর্ণ।
হায় সীমাবদ্ধতা, আমার অপারগতা।


জীবনানন্দের গল্পে মিশে যাই আমি
ক্লান্ত-বিমর্ষ হয়ে তার মত ভাবি -
কতো অসংখ্য কল্পনার খসড়া,
বসন্তের বাতাসে লেখা হয়
কালবৈশাখীতে উড়ে যায়।
জ্যৈষ্ঠে তৈরি হওয়া গল্প
আষাঢ়-শ্রাবণের জলে ভিজে যায়।
আবার আশ্বিনে গড়া হয়
ফের হেমন্তের হিমে চিমসে যায়।


কোন প্রাচীরে আবদ্ধ থাকে কল্পনা?
তা কি দুর্বোধ্য? প্রতিবাক্যহীন?
অথবা আমি। আমার অপারগতা।


আমি গর্জে উঠি -
বাধাহীন স্বপ্ন দেখবো বলে,
নিষ্ঠুর আবদ্ধ প্রাচীর ভাঙবো বলে,
অপূর্ণ কল্পনা পূর্ণ করবো বলে।
আমি গর্জে উঠি, উঠবো, উঠতেই থাকবো।