দেখই না বাতায়নে মেলিয়া নির্মলা সব ঘাস,
প্রশান্তি দেয় দুয়ার খুলিয়া ;
যখনই দেখি দক্ষিণা বাতাস!
কি শৈল্পিক কাব্যে আঁকা মোদের পরিবেশ!
এঁকেছেন এক মহান শিল্পী,
তাতে দিয়েছেন স্বরূপ রেশ।


পূর্ব গগনে মহাজনে দেয় কুসুম চক্ষে উকি,
নূরানী আভা আসে গো শীতল;
আঁধারের চাদর টানি।
গুল্মো লতার আগায় আগায়;
মুক্তা দানার চাষ!
নিয়ে নিলো হরণ করিয়া
মহাজনের উষ্ণ শ্বাস।


মহাজনের যৌবন যখন তেড়ে বেড়ায় তারে,
প্রজা কূলে প্রহর গুনে চাতক চক্ষু এনে।
আসবে কখন ক্ষীণ প্রভা করবে মোদের ম্লান,
সয়ে কখন পক্ক হবে এ নিঠুর অভিযান।
সময়ের যত অত্যাচারী ধারার মতো বয়,
প্রজা এবার তোমা পানে স্বচক্ষুমান রয়।
তির্য-বীর্য্য অহংকারে ছিলে যখন ডুবে,
ধরার নয়ন নুয়ে ছিলো আপন খর্ব তলে।


মহাজনের কোমলতায় মুগ্ধ এবার সবে
নিপীড়িত পীড়ন জ্বালা মুক্তি এলেই বোঝে।
প্রিয়তমার প্রীতি যদি বুঝিতে না পাও,
নিষ্ঠুরতার বেদন জ্বালা তার গলে দাও।
পরিচিতার অচেনা সুর সহ্য নাহি হয়,
খুঁজি তারে তারই মাঝে পরিচিতার সাজে।


কৃষ্ণ সন্ধ্যা নামে যখন;
পাতার শব্দের মতন!
নীরবতার কর্মীরা জাগে শান্ত করতে মন।


বেহায়া মনে ওঠে জেগে মহাজনের কথা,
গুনিতে থাকে প্রহর আবার;
কখন দিবে দেখা।