(সৌমেন অনন্তের 'সেই মেয়েটা' কবিতা কে অনুসরণ করে)


সেই ছেলেটার একটা সহজ মন ছিলো-
আঘাত দেয়া কতক আপন জন ছিলো-
শেষ ঠিকানা আঁধার ঘরের কোণ ছিলো-
সেই ঘরে সে শেষ কটা দিন গুনছিলো-
সেই ছেলেটার ছেলে হওয়াই ভুল ছিলো।


সুখ কুড়িয়ে থাকতো বেঁচে কোন মতে
আজকে কেমন লুটিয়ে-পরপারের পথে!
শেষ বেলাতে নয়ন জোড়া ঘুম ছিলো-
ছোট্ট প্রাণে ফুরিয়ে যাওয়ার ধুমছিলো।


সেই ছেলেটা সুখ কি যে তা বুঝতো না
বুঝলে কি আর টাকায় সে সুখ খুজতো না?
সবার হাসি তার সুখেরই মূল ছিলো-
সেই ছেলেটার হৃদয়টা তার ভুল ছিলো।


সেই ছেলেটার ভালবাসার পণ ছিলো-
তার কাছে যে মানুষ বড় ধন ছিলো।
বারেবারে সেই মানুষই কাছে ডেকে-
সুখ পেত তার হৃদয় জুড়ে শুণ্য এঁকে।
সেই ছেলেটা এত্ত বোকা! ভুল করে
প্রেম ফলিয়ে মনের সবুজ মাঠ ভরে,
শেষ বেলাতে সেই মাঠেরই এক কোণে,
আঁধার ঘরে, ফুরিয়ে যাওয়ার দিন গুনে-
কাঁদতো রোজই একলা একা নিয়ম করে,
আর, চাইতো খুবই-শ্বাসটা নিতে বুক ভরে।


আজকে সে যে সবার কাছেই 'অকারণ',
হৃদয়টা তাই শ্বাস নিতেও করলো বারন।
তাইতো ছেলে, ভালো-বাসবেনা আর পণ করে,
হৃদয় সমেত লুটিয়ে পথের ধূলির পরে!


যাবার আগে- তার নয়ন জোড়া ঘুম ছিলো,
ছোট্ট প্রাণে ফুরিয়ে যাওয়ার ধুমছিলো।
সেই ছেলেটার ছেলে হওয়াই ভুলছিলো।