রাত হলে যন্ত্রনায় ছটফট করি
একটি কবিতা লেখার জন্য।
যে কবিতা তোমায় কাছে আনে
কিন্তু কবিতারাও আজ কাল ফাকি দেয় ।
শব্দগুলোও ঠিক ভাবে বিন্যাস হয় না।
ঘুমের জন্য হাম এলে,
ঠান্ডা লাগলে হাঁচি এলে,
ঈশ্বরের নামের বদলে তোমার নামটি বলি ।
যেন মৃত্যুর পর ঈশ্বরও প্রেম দেখে বিস্মিত হয়,
অবাক হয়।
আমি জানি ঈশ্বর একটি সৃষ্ট চরিত্র ।
কিন্তু তোমার তো ঈশ্বর আছেন,
সে যেন বিস্মিত হয়,
অবাক হয়।
এজন্মে তো আর দিলেন না তোমায়,
পরজন্মে যেন মিলিয়ে দেন ।
পরজন্মেও আমার বিশ্বাস নেই ।
তবুও তোমার জন্য,
তোমার ভালবাসা পাবার জন্য কল্পনা করি ।
এই কল্পনাময় বিশ্বাস তুমি বুঝবেনা ।
বুনোফুলের মধ্যে শুয়ে,
দুপুরের জ্বালা ওঠা রোদে হেটে,
কুয়াশার রাত না ঘুমিয়ে,
এ জীবন সুখেই কাটিয়ে দিতে পারব ।
জানি পরজন্মে আর এ সুখ বইতে হবে না।
তোমাকে পাবার পর-বেঁচে থাকব লক্ষ লক্ষ বছর;
আদরে,শ্বাসনে,ভালবাসায়।
তখন তো আর তুমি রোদে হাটতে দিবেনা,
রাত জাগতে দিবেনা,
বুনোফুলেও শুতে দিবেনা ।
আমার বিশ্বাস আমাকে বলে,
আমাকে আশা দেয়,
এজীবন অপেক্ষার পর-
খুব কাছ থেকে তোমার হাঁসি দেখতে পাব,
ঘুমিয়ে থাকা নিপূণ মুখটি দেখতে পাব,
ভেজা চুলের গন্ধ শুকতে পাব,
জুতো ছিড়ে গেলে কোলে উঠিয়ে পথ পার করতে পারব।
আমার বিশ্বাস আমাকে ফাঁকি দিবেনা ।