একটি দৈব আদেশ আমাকে প্রেরিত পুরুষ বানিয়ে ফেলছে,
আমি ক্রমান্বয়ে মহামানুষ হয়ে উঠছি।
স্বর্গীয় স্বরযন্ত্র আমাকে ঘীরে ফেলেছে নির্লিপ্ত উৎসর্গে,
স্বপ্নে ঘীরে ধরছে কয়েক রাত যাবত
হাজারখানেক স্বর্গীয় নারী বেশ্যা।
তারা উপস্থিত হয় কয়েকশ গ্যালন সোনালী-রূপালী মদ হাতে,
সন্ধা প্রদীপের বদলে উজ্জ্বল বর্নালী ছড়া গাজা হাতে,
আমার দূর হ দূর হ চিৎকারে মেঘ ভেঙ্গে পরে,
ওরা ভাঙ্গে না।ওড়া দৃঢ়।
'তুমি প্রভু,তুমি সৃষ্টিকর্তা,তুমি কবি-
প্রভু তুমি ভোগ কর আমাদের।পান কর।'
ওরা নগ্ন বাহু দিয়ে সন্মোহিত করে আমাকে,
আমি আবারো চিৎকার করি-
স্বর্গীয় বেশ্যারা আমি বেজন্মা কবি নই,
স্বর্গীয় সুন্দরীরা আমি মহামানুষ নই,
স্বর্গের দেবতাদের দুধমাতারা আমি নষ্ট নক্ষত্র নই,
স্বর্গের নটীরা আমি প্রভু নই।
ওরা শোনেনা,মানেনা;
ঠোট বাড়িয়ে দিয়ে বলে খাও, গিলো, পান কর।
হুংকার করি,দূরে যাও সব মিথ্যে-কাল্পনিক।
তখনই শুনি দৈব বানী-
'পরম বিধাতা আপনি নষ্ট হন,
দেহ মন ভেঙ্গে ফেলুন।'
কি হবে?কি আছে?কি?কি?কি?
নষ্টে নষ্টে পৃথিবী নৃত্য করে ওঠে যেন ।
আমি কেপে উঠি, আমি পালাতে থাকি।
আমি কবি, সকালে খালিপেটে এক কাপ চা,
পরপর দুটি সিগারেটেই সুখী।
আমি মদ,গাজায় বুদ হয়ে নষ্টদেবতাদের মহাপ্রভু হতে চাইনা,
স্বর্গীয় নষ্ট দেবীদের নাভিকোমল দেখতে নষ্ট হতে চাইনা।
আমি কবতা লিখতে চাই-
অসংখ্য সুজলাসুফলাশস্যশ্যামল কবিতা,
প্রিয়ের হাতের আঙুলে,চুলের খোপায় জড়ানো কবিতা।
নীল সবুজ সাদা রঙের কবিতা,
প্রিয়ের ঠোটের হাসির কবিতা।
আমি দৌড়াতে থাকি,পালাতে থাকি
নষ্টরা আমাকে ধরে ফেলে।
আমি কবিতা কবিতা বলে ছুটতে থাকি,
আমি কবি,আমি নষ্ট নই।
আমি কবিতা লিখতে চাই,
মদগাজার গন্ধের,স্বাদের উপাখ্যান নয়।
আমি তরুলতায় জড়ানো কাব্য লিখব,
পূর্নিমায় প্রিয়ের মুখ নিয়ে কাব্য লিখব,
বর্ণনায় প্রিয়ের মুগ্ধতা নিয়ে কাব্য লিখব,
শিউলি-বকুলের গন্ধ নিয়ে কাব্য লিখব।