একটু বাদেই হাটবে শহর , ইটের দালানগুলি
একটু বাদেই থামবে নৌকো,মেঘের ছোরাছুরি।
একটু বাদেই ঘুমোবে রাত , দিনের দিক চেয়ে
একটু বাদেই বসন্ত আসবে,তোমায় কাছে পেয়ে।
একটু বাদেই সকাল-বিকাল, তোমার প্রানোচ্ছ্বাস,
একটু বাদেই তোমার হাঁসি, করবে আমায় নাশ।
একটু বাদেই কন্ঠ তোমার, শুনে হবো বেশ
একটু বাদেই কবিতা তোমার,লিখা হল শেষ।
‘একটু বাদেই’ চলবে, ঘুরবে , গতিময়।
‘একটু বাদেই’ সময় গড়িয়ে যাওয়া;
আশার প্রদীপ , চেয়া থাকা উড়ন্ত ঘুড়ি,
বাসা বেধে নীরে ফিরে আসা ।
শতদল মুক্ত, শালিকের খোপায় বাঁধা;
‘একটু বাদেই’ থাকবে রঙ্গিন প্রজাপতি।
বইয়ের পাতায় ভেসে উঠা মুখ
‘একটু বাদেই’ তোমায় – তুমি হয়ে থাকা।


কাঁচের জানালায় ভেঙ্গে পরা নাম
উদ্বাস্তু বৃহৎ আকাশ
সভ্যতারাজীর সকল সিদ্ধান্ত
সকল সাক্ষী ‘একটু বাদেই’ তোমার।
‘একটু বাদেই’ তুমি সময়,
দশ বারো বার ধমকে তুমি
কোটি বার আদরে তুমি
‘একটু বাদেই’ তুমি আমি।


দেখবে একটু স্বপ্নসোনা , ঘুম নিশিতে
আজ যে আঁধার নিস্তব্ধ সুন্দর ‘ও’ হাঁসিতে।
‘একটু বাদেই’ দিগন্ত বিস্তৃত
বাতাস আর সুরের কোলাহল
‘একটু বাদেই’ অভিনন্দন
হাজার গোলাপের পক্ষ থেকে।
‘একটু বাদেই’ কালের তৃপ্তি
তোমায় ঘীরে রেখে ।