শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পরে পরেই
সারা পরে যায় তার কুষ্ঠি বিচারের,
শরীর,স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্ম,গ্রাহ্যস্থ,মৃত্যু
এক কথায় আদিআত্তি সব।
তাও আজও বিচারাধীন। জন্মের কুলগ্ন টুকুও
প্যান্ডুরার বাক্সে বন্দিত।
সে যায় হোক,ভাগ্যের ডালা বোধহয় পরিপূর্ণ।
তাই জন্মের সাথে সাথে বন্ধু হিসেবে
পাশে পেয়েছিলাম উপোস কে।
বছর কাটতে না কাটতে মনে প্রানে
অনুভব করেছিলাম
তার একান্ত উপস্থিতি। অতি অল্পেই
স্বীকার করে নিয়েছিলাম তার বশ্যতা।
দাসত্ব শৃঙ্খল ভেঙে ক্ষুধা নিবৃত্তির পথ কে
পাথেয় করার কথা স্মরণে নেই।
তবে দিনে দু'বার খাবারই ছিল যথেষ্ট।
রাত্রে ফেনা মাখা গরম ভাত
আর দিনে
পান্তার সঙ্গে তেল-নুনের মিশ্রণ,
এর অতুলনীয় অপূর্ব স্বাদ,
সমুদ্র মন্থিত অমৃত কেও হার মানাত।
বন্ধু! আমি কিন্তু আজও হার মানিনী।
তোমার দেখানো পথ কে অনুসরণ করে
ভয়াতুর অন্তহীন জীবনের জয়ের নিশানায়
আজও বয়ে চলেছি জয়ধ্বজা।
তোমার প্রতিবাদী অস্ত্র হাতে নিয়ে
ছুটে চলেছি দিক হতে দিগন্তে!
যেখানে শকুনের দল ইফ-তারের আশায়
ডানা ঝাপটায়।
একলা আকাশে যেখানে স্বপ্ন ভাঙা ঢেউ,
তারই মধ্যে চিৎকার করে বলি,
ওরে পাষণ্ড!  আমি এখনো জীবিত!
চলে যায় ওরা, একরাশ ব্যর্থতার ক্লেশে।
নিভৃতে ফিরি আমি! আজও উপবাস!
এ যে শুধু তোমারই আশীর্বাদ।