ছায়া গ্রাসী রক্তিম অর্ক
প্রতিফলিত করে
দিনান্তিকার একফালি ছায়াছবি ।
অনন্ত ছায়াদের ভিড়ে
চরিত্রগুলো অমলিন , অকুতোভয়।
জ্বলন্ত প্রদীপের কৃষ্ণাঙ্গ বাহক
ছড়িয়ে দেয় তেলের সুবাস।
আমার আটচালার শ্যাওলা বিছানো বারান্দায়
তখন স্বপ্নের হাতছানি।
তখনও কাটেনি পান্তার অ্যালকোহলের
ক্ষীণ নেশা টুকু ,
আমার অভ্যস্থ প্রতিনিয়ত ক্লান্তির নিঃশ্বাসে
পলক দু'খানি ঘুমানোর অছিলায়
বিশ্রামে নিমগ্ন ।
চন্দ্রালোকের একবিন্দু বিশালাক্ষী রসামৃত
আমার চিরন্তনী সত্তাকে জাগ্রত করে ।
কে ? কে ওখানে ? কি চাও তোমরা?
নিস্তব্ধ ভ্রুকুটি, নিরুত্তর পলকহীন শ্বেতাম্বুধির মাঝেই
হাজারো স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি,
  কৃষ্ণফলকে জ্বলজ্বল করে ওঠে।
   আম পোকার মালকোষী সুর,
  মেঠো ইঁদুরের খড়ের চাল কাটার শব্দ
  মস্তিষ্কের শ্রবণ প্রকোষ্ঠে বারবার প্রতিধ্বনিত।
  মৃত্তিকা শূণ্যে কম্পমান পদযুগলে
  দাঁড়িয়ে থাকার রুদ্ধশ্বাস প্রতিযোগিতায়
  কেটে যায় একটার পর একটা অধিবর্ষ ।
   বারান্দার হরিৎ শ্যাওলা এখন শুকনো খটখটে,
   নিকানো উঠোনে দুর্বার আনাগোনা ।
  আমার কবিতার ছিঁড়ে ফেলা হলুদ পাণ্ডুলিপি      খানিকটা আমার মতই ছন্নছাড়া।
হাজার পাহাড় কেটে এগিয়ে চলা আমিটা
এখন স্বপ্নের শেষ প্রান্তে ।
দৃপ্তিহীন নীরবতায় সুইসাইড-নোট লিখতে ব্যস্ত আমার শাশ্বত স্বপ্নপরীরা।
অসহায়! আমার সৃষ্টির ধ্বংস কে আটকাতে
কণ্ঠের গোঙানির শব্দে  দ্বিনেত্রের নোনানদী এক হয়ে
এখন আমার রাত কাটে।