তুমি মানুষ হয়ে কি দেখেছ?
তুমি মানুষ সাজে কি শিখেছ?
তুমি জান না কি বলতে চাও?
কোথায় গেলে সামান্য দিশা টুকু পাও?
শুধু পূর্বপুরুষের, ওই টুকুই স্মৃতি ছিল?
তোমার হাতে তাই, তীর ধনুকটি এল !


তারা বলেছিল আমরাই শ্রেষ্ঠ,
যত উঁকি মারে হতাশা আর কষ্ঠ,
আমরাই চিনি সৃষ্টি কর্তাকে,
দিব আদিম শিক্ষা তালিম আর শর্তকে,
তুমি বলো, শিখেছি তীর ছোঁড়া!
রক্তের শর্তে শিকারে পেট ভরা!


আমি বলি কখন বসেছ হাঁটু গেড়ে?
তীর ধনুক ব্যতীত মনটা কে ঝেড়ে?
দেখ ভরা দীঘির দুপার মায়াকে,
দেখেছ কি স্নিগ্ধ শ্যামল ছায়াকে?
পেয়েছো কি প্রকৃতির পবিত্র সুঘ্রাণ ?
নবান্নের ধানে শিশুর অনন্ত গান?


চেয়েছ কি নক্ষত্র দ্যুতির মাঝে?
রাতের গভীর শূন্যতার খোঁজে?
চিনলে তুমি শুধু তরবারি তীর,
বৃথাই শিক্ষা অযথাই শির,
শিখলে কি তুমি বেশি?
ধীতরাষ্ট্রের রথে টানলে যে রশি,


দুর্যোধনেরা আজ আঘাতে ব্যস্ত,
পরস্পরের ধ্বংস আর হৃদয় রক্তাক্ত,
জনহীন দরবারে মুকুট জয়ী হয়ে,
ফিরে এলে তুমি শূন্যতা জয়ে,
সে কথা কি তুমি জান?
নিজেকে মানুষ না দ্বিপদ জন্তু মান?