আমরা চারটি বেকার ছেলে রোজ বসে  আড্ডা মারি
      রবিবার দিন মশগুলে, চা-ওয়ালা রবিও হ্যাপ্পি ভারি


সক্কাল থেকে চা এর দোকানে জাগতিক বিশ্লেষণ
      প্রশ্নবোধক চিহ্ন গুলোর সাথে  নিষ্ফল অন্বেষণ


রাজনীতি ফুটবল হয়ে সকলেই আড্ডায় অধীর
      ফুটপাতে হই হই হটাৎ দেখা গেল কঁচুকীর ভিড়


তুলে আনল পাঁজাকোলা করে রবির চা দোকানে
      দুটো চোখ স্থির মনেহয় সদ্য মৃত্যুর মুখ থেকে টেনে


ঠোঁট দুটো তখনও তিরতির একপা ভেঙ্গে ঝুলে আছে
      আর এক-পা রাস্তায় পরে ছিল ভিড় ট্রাফিকের মাঝে  


এই সেই গুম্ফশ্মশ্রু কামানো মেয়েটা টুইন-ওয়ান
      চোখ মেরে বলত, সিটি দিস না তোরা বেকার নওজোয়ান  


আঙ্গুলে নোট গুঁজে রাজপথে  দিত দু-হাতে তালি
      রবি বলত নাম কিন্তু লিলি,  ওটা ছেলেই একচুয়্যালি


যেতে হবে মেডিক্যাল গালি দিয়ে  অটোকে থামাই
      ভরপুর সান্তনা, আর ছিল তালি আমরা অটোয় চেপে যাই


একে একে দিন গেল রাত গেল আবার এলো সেই ভোর
      আমাদের নতুন ঠেক এখন শহরের মেডিক্যাল আউটডোর


একমাস পরে তুমুল বৃষ্টি ভেজা দিনে লিলি চলে গেল
      সবাই মিলে চাঁদা তুলে শেষকাজ  শ্রাদ্ধও দাওয়া হলো


লিলি দিয়ে গেল ওর মতোই অস্বীকৃত অতৃপ্ত কিছু আকাঙ্খা
      আমরা হলাম মিলেমিশে তালি দাওয়া ভৈরব রতন পিঙ্কি প্রিয়াঙ্কা


সংখ্যায় বেড়েছি আমরা চার থেকে চোদ্দয় এসে দাঁড়ায়
      লোকে বলে কঁচুকী ঠেক, মিলেজুলে বেকার আমরা এক জায়গায়


নেই কোন বিভেদ আমাদের, গান গাই দিই হাতে তালি
      হিংসা রেষারেষি নেই, শুধু একটাই... খিস্তি চলে তাও পার্সোনালী  


দিনের বেলায় সেবা কার্য, প্রসূতিগৃহ হাসপাতাল হয়ে শ্মশান
     রাতে চলে গাঁজা দেশী চোলাই আরও কিছু, যা এখানে বলা বারণ