ভাবছি পূর্ণিমার চাঁদের উপর কিছু লিখবো,
কিংবা অন্য কিছুর উপর, পাখী বা শীতের ফোটা টগরের উপর,
অথবা প্রেমিকার সাথে না কথা বলার কথা,
অনেক দিনের ঘনীভূত দীর্ঘশ্বাস গুলোর কথা,
এমুহূর্তে যেটা শব্দের আকারে ভরে উঠতে পারে চরম বিরহ চরণে,
এবং সহজেই হয়ে উঠতে পারে কবিতার পূর্ণ বিষয় বস্তু,
আবার ভাবছি অন্য কিছু কথা, একটু ভিন্ন ধরনের হোক,
মানুষের কথা? ঠিক তাই! মানুষ তো আগে বাঁদরই ছিল!
যেমন আমরা কয় তলায় উঠে মানুষ হলাম? পরিপূর্ণ মানুষ!
মাদারির সেই শিকল পরা বাঁদরটার দাঁতখিঁচুনি, ওতো মানুষ না,
খেলা দেখাতে রাজি হচ্ছিল না বলে, মনিবের নির্মম লাঠিপেটা,
আর সেই দিন, খাঁচার মধ্যে বন্দী শিম্পাঞ্জির করুন চাহনি,
হটাৎ করে বিষণ্ণতায় মনটা ছেয়ে গেলো,
সেই দাদু, বাল্যকালের আমার দাদু, আই সি ইউতে যেতে চায়নি,
শিম্পাঞ্জির মতোই চোখের চাহনি ছিল তখন,
জোর করে ষ্ট্রেচারে তুলে অ্যাম্বুলেন্সের লোক গুলো নিয়ে গেলো,
তার পর আর দাদু ফিরে আসেনি বাড়িতে,
একটা সময় পরে সকলের মধ্যে অনেক মিল চলে আসে,
যেমন দাদু বাঁদর শিম্পাঞ্জিদের, নিজের পছন্দ আর থাকে না।