নিঝুম রাত্রি একা জেগে থাকা, নিথর শয্যা বড় ফাঁকা লাগা।
কান পেতে শুনি দূরে কোন বাঁকে, রাত্রি নিশীথে কুকুরেরা ডাকে।
উঠি ঘর ছেড়ে একা আনমনে, ব্যালকনি যাই জাগিত স্বপনে।
হাতে ধরে নিয়ে জলের বোতল, সিগারেট আর দেশলাই খোল।
জ্বালিয়ে ম্যাচিস দুটি আঙ্গুলেতে, মুখে সিগারেট ধুমা যায় পেটে।
বিচরণ করি মনের জগতে, হয়ে উদাসীন দিকহীন দেশে।


কতশত মুখ আসে ফ্ল্যাশ-ব্যাকে, দ্বিধাহীন প্রাণ কত ছবি আঁকে।
ছোট বড় রেখা মুছে বারবার, মেলে নাতো ছবি আঁকি কতবার।
কত বার রঙে রাঙায়িত করি, কখনও আবার বলি আহামরি।
ছিড়ে ফেলি মনে কত ক্যানভাস, বিরহের ব্যথা হয়ে হাঁসফাঁস।
ধুমা বার হয়, হয়ে গোল রিং, জ্বলে সিগারেট প্রাণ সঙ্গিন।
বিচরণ করি মনের জগতে, হয়ে উদাসীন দিকহীন দেশে।


মেলেনা কিচ্ছু যে রাত বয়ে যায়, গুটি-গুটি পায়ে ফিরি দরজায়।
রোজ সকালেতে উঠি চান সারি, তারাহুড়ো আর অফিস-কাছারি।
নিত্য নুতন সংসার ঠেলা, একা সৈনিক সামলাই খেলা।
এই নিয়ে ভাই আমি বেঁচে আছি, অবসর হলে তবে আমি বাঁচি।
কোন দিন ভাবি শেষ হবে খেলা, বাড়ে চাপ তত প্রাণ ঝালাপালা।
বিচরণ করি মনের জগতে, হয়ে উদাসীন দিকহীন দেশে।