মনের পাখীর নানান সুরে,
আপন কায়া ঘোরে ফেরে।
শান্ত দিঘীর অথই জলে,
গ্রীষ্ম কালে আমের ডালে।
নবীন চোখে যা দেখে তাই,
অবাক মনে প্রশ্ন জাগায়।
নানান খেলায় ব্যাস্ত রাজে,
বাল্য কালের সাথীর মাঝে।
সন্ধ্যা বেলায় পড়ার ঘড়ে,
চোখ বুজে যায় ঘুমের ঘোরে।
জাগায় মায়ের উষ্ণ স্নেহ,
জানলো নাতো অন্য কেহ।
এমনি ভাবেই পার হয় দিন,
কিশোর ভেঙে হয় সে প্রবীণ।
লেখাপড়ার গণ্ডি ছেড়ে,
ঝাপসা সবুজ জীবন তোড়ে।
এদেশ হতে ওদেশ দেখা,
অজানা কে জেনে রাখা।
প্রেমের ঘোরে মনের তোড়ে,
পাখীর গানের মধুর সুরে।
আসেন গিন্নি মধুর গেয়ে,
নিজের ছেলে নিজের মেয়ে।
শ্বশুর মামা ভাগ্নে জামাই,
শালা শালী আপন সবাই।
নেশার ঘোরে আশার জোরে,
সবই আপন অহংকারে।
চাকরি জীবন যুদ্ধ মাঝে,
সংসার আর ব্যস্ত কাজে।
নিরাশ হোল কত আশা,
অভিজ্ঞতায় ঝুলি ঠাঁসা।
আশার মাঝে পরিশ্রমে,
হাতছানি দেয় উপার্জনে।
আশা বাঁধে দালান কোঠা,
গাড়ি বাড়ি অর্থ মোটা।
ডুবল কায়া অথই ভোগে,
আপন ভেবে মিথ্যা রোগে।
সময় বাড়ে বুদ্ধি বাড়ে,
প্রবীণ কায়া বৃদ্ধ ধরে।
কায়া ছেড়ে মনের পাখী,
একদিন হয় সবই ফাঁকি।
ছাড়লো দেহের খাঁচা পাখী,
ছাড়ল নিজের মায়ার বাটী।
কোথায় গেলো মনের পাখী,
যাকে নিয়ে ডাকাডাকি।
রইল পড়ে হিসাব-নিকাশ,
প্রতিশোধ আর আর্থিক বিকাশ।
সাধের দেহ ধূলায় পড়ে,
মনের পাখী যায় রে উড়ে।
কোথায় আপন কোথায় গোপন,
মিথ্যা যে হয় নিজের স্বপন।