যখন শুকায় রোদের দহনে খরায় বসুন্ধরা।
সবুজ শাখায় সুধার আশায় শুকনো শান্তি’হারা।
সেথায় যখন প্রাণের পাখায় চাতক তৃষ্ণা জাগে।
আশার আলো একটি সুরে অঝোর ধারা মাগে।


হঠাৎ জমে ছিন্ন বাদল নীল আকাশের তরে।
অসীম তলে শূন্যে উড়ে মেঘের আকাশ পরে।
বাষ্প জলের প্লাবন কণা যায়’না যে কভু গোনা।
মেঘের জটায় জড়িয়ে থাকে অশ্রু জলের কণা।


কোথা হায়’গুরু চায় আঁখি ভীরু জ্ঞানের ঊর্ধ্ব স্থানে।
ত্রাসে কাঁপে সেথা সমতল ভূমি ন্যায়ের বজ্র বাণে।
সকলের আঁখি একটি আশায় মিলন দৃষ্টি চায়।
নাদে দুন্দুভি গুরুগম্ভীর সুরে ধ্বনিত সৃষ্টি ধায়।


সব আশা সেথা পূরণের তরে বিছায়ে শূন্য ডালা।
শ্রাবণ ধারায় ঝরা বরষণে মিটায় তৃষিত জ্বালা।


---------------------------------------------------


আমার আগের লেখা “আশার বর্ষণ” টা সনেটে লিখেছিলাম, উপরে এই মূল ছন্দ কবিতার আধার থেকেই। ভাবলাম এই আসরে মুল ছন্দ কবিতাটা “আশার বর্ষণ (ঋতু)” একবার প্রকাশ করা উচিৎ । জানিনা, কবিবন্ধুদের কেমন লাগল?