পাত্রী ছিল গাঙ্গি ফড়িং,
          রূপ-গুণে তার রসিক হাজার।
ভর দুপুরে ঘুরে বেড়ায়,
          পাশের বাড়ি ইংলিশ-বাজার।
দিদিমনির ছাদখানা তার,
          একলা প্রিয় ধরল মনে।
বাহারি রং পাখনা মেলে,
          গাঙ্গি ওড়ে স্বপ্ন-বনে।
ছিল যত মাদি ফড়িং,
          তাই না দেখে হিংসা করে।
গাঙ্গি থাকে আপন মনে,
          খুশ্ মেজাজে ছাদের পরে।
যখন দিদি আসেন ছাদে,
          বাগান করেন গোলাপ টগর।
ফর-ফরিয়ে আলাপ করে,
          দেখেন দিদি ফড়িং-রগড়।
পাত্র ছিল গঙ্গা ফড়িং,
          বেজায় কালো পাত্র ভালো।
গাঙ্গি প্রেমে পড়ল ধরা,
          দিদির ছাদে মন জুড়াল।
দিদি দেখেন প্রেম করে আজ,
          গাঙ্গি হল গর্ভবতী।
হেসে বলেন দেব বিয়ে,
          করব যে আজ তোকে সতী।
খবর গেল এ কান থেকে,
          ও কান দিয়ে অনেক দূরে।
বার্তা পেলেম গাঙ্গির বিয়ে,
          মালদা হতে বালাসোরে।
আট মাসেতে খবর পেলাম,
          গাঙ্গি আজও গর্ভবতী।
অবাক লাগে কখন কবে,
          মা হবে সে ফড়িং-সতী?


-----------------------------------------------------
লেখাটা বহুবছর আগেকার, শ্যালিকার সাথে ঠাট্টা ইয়ার্কি বসত কথোপকথনে কবিতায় রূপ নেয়।
প্রিয় শ্যালিকাকে উৎসর্গ করলাম।