আমার মেয়েটা ছাগল চরায়
পাহাড়তলি চেয়ে থাকে ওর পথে
শুকনো পাতা সেখানে পশুরা মাড়ায়
জীবন চলে উচুনিচু পাহাড় পেরিয়ে
মেঘ আসা যাওয়া দৈনিক সঙ্গি
    জীবন যেখানে গ্লানিকর প্রতিদিন  
    আশা ছাড়া নেই কোন আবাদী
    একপা চলাও বড় দুস্তর


গাছের নিচে শুয়েছিল মেয়েটা আমার
চোখে ছিল হতাশার জল
বুকে ধরা ছিল শুধু শূন্য লোটা
    ভেড়া ছাগলের সাথে এইটুকুই বিভেদ
    আমাদের দৈনিক পেট নামছিল ভুখা
    কাঁটাতার জীবনের পরিধিমাপক
    আমরা সেখানে থাকি  
    আমাদের কোন নাম নেই
    আমরা চাইনি, তোমরা বানাও দেশ ধর্ম


কিছু ফেলে আসা দিন চোখের জল
গুনতি করে বল, ওটা তোমাদের প্রাপ্য ঋণ
গুণিতক ঋণে জমে যায় মেঘ
ঝরে পড়া দুফোঁটা চোখের জলে মিশে যায়
    শূন্য লোটাও মাপতে পারেনি
    আমার মেয়ের চোখের জল


    আমার মেয়ের নাম যদি জানতে চাও
    বলব, নামহীন পৃথিবীর বুকে
    জীবনের শেষ নাম যদি হয়-  ধর্ষিতা লাশ।