ওরা যখন আমার ভেসে যাওয়া মেঘ নিয়ে ব্যাবসা করে, অথবা আমার সার্টের বোতাম খুলে হৃদয় দেখতে চায়
আমার গায়ে লাগে, পায়ে পায়ে জোড় লাগে
আমার গলা থেকে একটা গোঙ্গানি বেরিয়ে আসে
এবার দৌড়াতে হবে অনেক লম্বা দৌড়
আর বেরিয়ে আসে নিজের নগ্ন পা,
সেই পথ যেখান দিয়ে প্রতিদিন হেটে যায়--
অগুন্তি পা, কারোর চামড়ায় ঢাকা পা
রক্তাক্ত কোন মুটেমজুরের পা
অথবা নরম মখমলী বা নূপুর জড়ানো পা
আমাদের স্তব্ধীকৃত পা চারি পাশে দাঁড়িয়ে
তৃষার্ত স্তরমেঘে মুখগুলি উড়ে যায়
এ-কোথায় দাঁড়িয়ে আজ আমাদের পা?
তবে কি আমরা পা-পা করে পায়ে পা জুড়েছি


নিজেকে প্রশ্ন করি, ওরা কারা...
কি করে প্রবেশ এই মঞ্চে?
মুখবই বলে, সকল মুখের ছাপ পাবে
সেঁটে গেছে আমার দেওয়ালে
ফিরে চাইলে হয়তো বা আরও চিহ্ন পাবে
যাদের গায়ের কফন ছিল লাল নীল সাদা বা গেরুয়া;
বাতাস এসে বলে যায় ...
ওরা আজ ঘরে ঘরে, পাতায় পাতায়...
ওদের ধর্ম গোত্র নেই,
নেই কোন নাম, নামহীন শব্দাংশ গঠনে
জাল ফেললে নাম উঠে আসে ছোট বড় সাহিত্য মাফিয়া