আমি তো কবিতা নই, কে লিখেছিল আমাকে,
শুধু কিছু হতাশ শব্দ, প্রতিদিন কাট পেস্ট করে,
দৈনিক সেঁটে দেয় ওরা আমার শরীরে?
আঁকে এক বীভৎস মুখমণ্ডল, এ আমার ছবি নয়,

এতো আমি নই... তবে ওরা কি সুখ পায়?
এই হতশ্রী দুঃস্বপ্নের পটচিত্রে আমাকে এঁকে?
যেন এক বিষণ্ণ পলাশ গাছ, ফুলপাতা হীন হয়ে দাঁড়িয়ে,
দেরাজ থেকে বার করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে...
বসন্তের তপ্ত দ্বিপ্রহরে, অর্বাচীন স্মৃতি গুলোর টানা হেঁচড়া,
আমি দিইনি তো ওদের, লালসাময় ভোগ করার সে অধিকার,
টেনে টেনে ছেঁড়ে চুল গুলো,
প্রতিটি কোষে ধারালো নখ দিয়ে খামচায়,


শেষে... ওদের উচ্ছিষ্ট অংশ গুলো আমার মুখে ছিটিয়ে দেয়,
পড়ে থাকে আমার সংজ্ঞাহীন বীভৎস রূপ...
ওরা দেখে, উৎসব করে... নিজেদের মধ্যে বাহবা কুড়ায়,
যেন কে কত বেশী নিষ্ঠুর আঘাত করার এক প্রতিযোগিতা।।