তখনো শেষ বেলার সূর্য্যটা আকাশ থেকে নেমে যায়নি,
শেষ বিকেলে পথ হারানো পাখিটা বাড়ী ফেরেনি,
উঁচু চিমনীটায় শেষ কয়লার ধ্বংসাবশেষ ধোঁয়া হয়ে মেঘ কে চুমু খায়নি,
ময়দানের মাঠের ঘাসগুলোর ওপর শিশির জমেনি. . . . . .
আর তোর হাতটা আমার হাতের ওপর থেকে সরেনি।


*************


আজ বছর পার হল,
তুই বেশ তোর নতুন তুই কে নিয়ে প্রতি সন্ধ্যায় আজও চা খেতে যাস,
এটিমের সিসিটিভিও আজ তোর পাশে নতুন কাউকে খুঁজে পায়,
সেই শেষ বাসের শেষ সীটদুটো আজ আর রিজার্ভ থাকেনা,
নতুন বাইকে সওয়ার যে জানালার হিমেল হাওয়ায় মোলায়েম চুল ওড়ানো পুরোনো সাথী. . . . . . . . . . .
নাহ্ বদলায়নি ঠোঁটের ছোঁওয়া, যদিও আজ তা পায় ভাগ্যবান চায়ের গ্লাস আর সিসিটিভিতে ওঠা আবছা ছায়া।


**********


হেমন্ত পেরিয়ে শীতের আগমন,  
হ্যাঁরে আজও কী কেউ শেয়ার করে খুব সেকেলে মেরুন চাদর?
নাকী বড্ড নতুন মডার্ন জ্যাকেটে সেই শেয়ারের অপশনটা নেই?
তবুও শীত আসে নিয়ম করে, তবে কেউ বলেনা ভোলুর কথা,
সেই ভোলু তো হারিয়ে গেছে, লক্ষ কোটি মানুষের ভীড়ে,
তবু একটি বার সত্যি করে বলনা ব্যাগের কোনায় ছবিটা দেখে, একটি বারও ভেজেনা চোখের কোনা?
নাকী শুধুই বৃথা হাসপাতালের বেডে শুয়ে সেই উল্টোগোনা. . . . . . . . . . . . . . .