সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টা
মা-বাবার অফিস থেকে ফিরতে বেশ দেরী।
মুখচোরা ছেলেটা শিশুকাল থেকেই বয়ে চলেছে
একাকীত্বের নিদারুণ অভিশাপে।
কখনও মুখ ফুটে প্রকাশ করতে পারেনি তার যন্ত্রণা।
বয়ঃসন্ধির দরজায় জর্জরিত, সদাচঞ্চল একটা মন।
নিরন্তর খুঁজে চলে একজন বন্ধুকে
একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী।
অবশেষে মেলে খোঁজ
অঙ্ক কোচিনের অনিমেষ।


ডোরবেল বেজে ওঠে সশব্দে -
'শরীরী প্রতিক্ষার' অবসান ঘটে।
আনন্দে উদ্বেল করা বন্ধুর আগমন।
সামান্য কুশল বিনিময়ের পরে,
প্রত্যাশা মতই দুজনে পৌঁছে যায় চানঘরের নিভৃত আবডালে।
সাহসী আঙুলে খুলে যায় রুদ্ধ দুয়ার।
সুগঠিত লোমশ দেহের প্রশংসাসূচক ধ্বনি।
তারপর তৃষ্ণার্ত দুটো শরীর এলিয়ে যায়
বাথটবের শীতল জলে।
ব্যস্ত হয়ে ওঠে একজোড়া হাত।


কিন্তু এক দুঃস্বপ্নের মত
অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন মা।
ছেলেটা বোধহয় লক করতে ভুলে গিয়েছিল।
ফ্রেস হতে বাথরুমে উপস্থিত।


মুহূর্তেই বিস্ময়!
এক অভাবনীয় দৃশের সম্মুখীন।
বাকরুদ্ধ
একমাত্র ছেলের স্বরূপ উদ্ঘাটনে।
হঠাৎ পাণ্ডুর হয়ে যায় কত রঙিন স্বপ্ন।
ছিঃ। ছিঃ। এ যে ভীষণ লজ্জা।


ডিনার টেবিলে বাবার সামনে কথাটা আর উঠল না।
ভীষণ রকম স্তব্ধতা আজ ডিনার টেবিলে।
খাওয়া শেষ করে নিজের ঘরে শুতে গেলেন মা।
আলমারি থেকে বের করে নিলেন আকাশী রঙের প্রিয় শাড়িটা।
সিলিং ফ্যানের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ।
তারপর......।