জায়ুইনা গাছঃ গল্পের রেশ


আমাদের গায়ের পাশে ফসলের মাঠ
              মাঠে পেরিয়ে নদী
এখুন আর বহে না নিরোবধি
লোকেরা ডাকে পশ্চিমনদী
নকশার দাগে ইছামতি যদি'
ভাবতাম রবি ঠাকুরের নদী তুমি বুঝি?
এমন প্রশ্নের ভারা কতবার যে খুজি,
ভাটির আমগাছটিও আর নেই এখন
চাষীরা ঘুমাতো ক্লান্তি পেতো নয়নে যখন
পথিক বিশ্রাম নিতে মনের তাগিদে
শীতল ছায়ায় মিটাইতো গতরের ক্ষিধে।
আর বাড়ীর সামনে বয়সি বিরাট আমগাছ
গ্রামবাসি ডাকিতো জায়ুইনা গাছ
জায়ুইনার ছিলো নাকি অদ্ভদ ইতিহাস
কত গল্প জন্মেছে জায়ুইনা পত্রপল্লব ডালে
ভূত -পেঁচা- মৃত্যু-ভয় অন্ধকার ঢালে।
সকালে সন্ধ্যায় ঐখানে নাই যে পাখিদের সমাবেশ
দিন রাত্রির গল্পের নেই রেশ
এই কী রুপের অপ্সরী চেনা গ্রাম তবে
মেরেছে জায়ুইনা কে কবে!
অজস্র গল্পের জোড়াতালি
এখনও হ্নদ মহলে পালি  
রঙের ঘুড়ি ভূতে বুড়ি পালিয়েছে হায়
রাতে হুতুমের ডাক শিয়ালের হাক
বিয়ে বাড়িসাঁজ যেন জোনাকিদের পাড়ায়


হারিয়েছে হায় কালের তাড়োনায়
গায়ের সবে ডুব দিতো যে নদীর সোতায়
সেইসব দিনগুলি আজ কোথায়!
সকালে ডুব ঝাপ ক্লান্তিহীন সাঁতার
বিকেলে খেলাধুলা শেষে দৌড়ে আবার
যে সব পেঁচারা মরে গেছে নিতান্ত সন্ধ্যা শেষে
জলজ্বল চোখ,উড়ে ঠোকর দিতো মাথার কেশে
কোন এক জীবনানন্দ হেটে গেছে এই গাও গ্রামের পথে
চিনতে পারিনি কী কোনদিন কোন মতে?
তবুআজও মানুষেরা জেগে নিয়ন আলো রাতি
সভ্যতা আলো কেটেছিল কুপি হেরিক্যানবাতি