আশুতোষ বাঁজাউ বাঁশি আসেনি কি আজো সুখের পৌষ
ঢেকির তানে রান্না ঘরের খুঁটি কাঁপে,
দৃষ্টি আমার দুটি চোখে তোমার লম্বা বেনির সাথে জড়ানো
ফিতায় বাঁধা চুল;
মন ভোলানো গানযে শুনি তুমি আমার চুলের ফিতা বন্ধু তুমি
কানের দুল।
তুমি আমার রাখাল বন্ধু থাক কদম তলায় বইয়া, বাঁশির সুরে
ঝুমকা দোলে কান্দি ঘরে রইয়া।
বন্ধু তুমি বসন্তের কোকিল-
দেখা দাওনা কথা কওনা ধরিস শুধুই আড়ি,প্রেম শিখাইয়া চইলা
গেলা সদা তোমার রঙেই পুড়ে মরি।
তোমার জন্য আজো আনি রক্তজবা ফুল, তোমার প্রতিক্ষায়
বসে থাকি পুকুর ঘাটে আমি একলা অনুকূল।
মায়ের হাতের পিঠা খেয়ে যেমন মেলে সুখ-
শহরতলীর পিঠার মেলায় পিঠা খাওয়ার অভ্যাস আমার খুব,
পিঠার গন্ধে মন আনন্দে ভরে ওঠে বুক।
পিঠা-পুলির উৎসবে আজ মেতে উঠেছে সবাই ,শুধু প্রকৃতির
অনিয়মের আধি-পত্যে আগলে রেখেছে আমায়।
কেন জানি অতীতের দিনগুলোতেই পড়ে আছি, পৌষালির
কাছে মিনতি অতীতেই তুমি ছিলে সাক্ষি
তাকে ভালোবেসে এভাবে যেন তোমার সাথে থাকে আমার
সারাজীবন মৈত্রী ।