আমার একটি কবিতা আছে
কবিতাটির রূপ এমনি যে
এখানে নাক পাতলে মানুষ পোড়া গন্ধ আসে
ঘর্মাক্ত শ্রমিকের অগ্নিশ্বাস আসে
আসে খেটে খাওয়া মানুষের করুন সুর।


আমার একটি কবিতা আছে
তবে এ কবিতায় নেই কোন ছন্দ
আছে চৈত্রিরোদে দূর আকাশে উড়া
মৎস্যখোজা চিলের ডানার ক্লান্ত ঝাপ্টি
আছে ক্ষুদিত প্রাণের বিধুর যন্ত্রণা।


আমার একটি কবিতা আছে
তবে এ কবিতায় কোনো ভালোবাসা নেই
আছে মেহেদি পড়া নববধুর নথ খোলানো গল্প
প্রেয়সিকে হারিয়ে যুবকের মধ্যপানে ঘরে ফেরা
আছে শত প্রেমিকের কয়েক ঘন্টার উল্লাসিত প্রেম।


আমার একটি কবিতা আছে
তবে এ কবিতায় নেই কোনো সাজ
নেই কোনো উল্লাস, নেই কোনো আনন্দের ছোঁয়া
এখানে আছ অঙ্গারমিহি কিশোরীর অর্ধফোটা চোখ
আছে স্বজনহারা শূন্যবুকের নিধারুন আঁকুতি।


আমার একটি কবিতা আছে
তবে এ কবিতা পাঠে ভালো কোনো পরিনাম নেই
এখানে আছে ডাস্টবিনে খুরে খাওয়া ক্ষুদার্থের অবয়ব
রাস্তার পাশে রে থাকা বেওয়ারিশ লাশের গলিত দেহ
পাঠ করোনা এ বেলা হয়তো খাবার মুখে নিতে পারবে না ঘৃণায়।


আমার একটি কবিতা আছে
তবে উল্টিওনা এ কবিতার পাতা
উল্টালে পাবে শুধু দুঃখ আরা দুঃখ
চৈত্রির রোদে পোড়া শুকনো পাতাদের মুরমুর শব্ধ
পাবে পথ হারানো পিপাসিত পথিকের অপেক্ষার চোখ।


আমার একটি কবিতা আছে
তবে এ কবিতায় নাই কোনো বিজয় উল্লাস
আছে শুধু বঞ্চিতের দাবীর মিছিল, কালো পতাকা মিছিল
আমরা বাঁচতে চাই, অধিকার চাই, ঘামের মূল্য চাই,
“বন্ধুকের করায় অর্থহীন সব প্রতিবাদ।”