কবিতারে খুঁজেছি আমি
বনে বাদারে, মাঠে-ঘাটে
মুদিয়াল হাটুরের ঝুড়িতে
ওই গোঁদা কিংবা শান্তির হাটে।


খুঁজেছি তারে শরতের নীলে
ভরা পূর্ণিমার চাঁদে
নীলিমার বুক ঘেঁষে ছুটে চলা
মেঘের ভেলায়।


খুঁজেছি তারে প্রভাত বেলায়
ঘুম ভাঙ্গনো পাখির গানে
কিরণের সাথে প্রেমালাপে
ঘাসের ডগায় শিশিরের হাসিতে।


খুঁজেছি তারে আঊশের ক্ষেতে
কলমিলতায়, ডাহূকের ডানায়
কাঁশফুলের শাদা শাড়িতে
হেমন্তের হিমেল হাওয়ায়।


খুঁজেছি তারে বাতাবি লেবুর গন্ধে
মৌয়ের রেশম ডানায়
ঝিঁঝিঁ পোকার শুকনো খোলসে
কুহুকিনীর গানে।


কবিতারে খুঁজেছি কত আমনের মাঠে
সরষে, তিল, তিসি মটেরর ফুলে
কিশোরের ঘুড়ির নাটাইয়ে
দক্ষিণ বাতায়নে বহুদূরে।


খুঁজেছি তারে শালিকের ঝাঁকে বোয়ালিয়ার বাঁকে,
কালুমাঝির নায়ের বৈঠায়
অলু চাষার লাঙলের ফলায়
আলের বলদ দুটির রাখালি চোখে।


খুঁজেছি তারে পুকুরের ঢেউয়ে
কিরনের আঁকাবাঁকা ছন্দে
ঘাটে বসা কিশোরির কদম ছেড়ায়
হিজলের মালা গাঁথার গানে।


খুঁজেছি তারে বোশেখী ঝড়ে
আমকুড়ানো কিশোরির এলোকেশে
দরজার আড়ালে বসা লাজুক বধুর
আঁচল ঢাকা মুখে।
২৭/০৮/১৬ইং
১৪ ভাদ্র ১৪২৩বঙ্গাব্দ