বরষার কোন এক বেলায় গিয়েছিলাম তার পুকুরের পাড়ে;
বিকেলের কিরণে জলের ঢেউয়ে ভাসিয়ে দেহখানী
আনমনে ছিটিয়েছিল কোমল জল
মনে হয়েছিল এ যেন সদ্য ফোঁটা উৎপল।
ঝপাৎ ঝপাৎ টুপ টুপ নীল জলে দিল ডুব
ভেজা শাড়ি শীতল তনু উঠে গিয়ে ঘাটে
কেন জানি চোখ ফিরালো আমার অবগাহে।
লজ্জায় বড়ই আড়াল করে চোখ
রুদ্ধ কন্ঠে গিলে গিলে ঢোক
বলল, “তুমি কখন এলে?
শরম বুঝি কিছুই আমার নাই
যাওনা তুমি যাওনা এখন চলে।”
বলছি চুপি লজ্জা কিসে তায়
তুমি আমি পাড়ি দিবো একই ঠিকানায়।
তবুও সে করলে বারণ, “যাওনা এখন চলে
ভয় লাগছে মনে ভীষণ কে জানি কী বলে!”
চেপে ধরে তার বাহুখানি, হাতে নিয়ে লম্বা কেশবেনী
গেঁথে দিলাম একটি হিজল ফুল।
ঝাপটি মেরে ছাড়িয়ে বাহুখানি
বাঁকা ঠোঁটে লাজুক হাসি হেসে
কোথায় যেন পালিয়ে গেল হিজল ভেলায় ভেসে।
২৭/০৯/২০১৬
১২ আশ্বিন ১৪২৩