শুভ জন্মদিন হে বন্ধু আবু, তোমার এই শুভ জন্ম দিনে
ফিরে যেতে চাই গোড়ার দিকের সেই সব প্রবাস জীবনে
এন্ডিভার হোস্টেলে পাশাপাশি রুমে ছিল মোদের অবস্থান
তোমার ঘরে সর্বদাই বাজতো সন্ধ্যা, আরোতি আর হৈমন্তী শুক্লার গান
মন বুঝি তোমার পরে থাকতো দূরে প্রেমের মধুপুরে
গুন গুন করে গাইতে তুমি ভাংরি ভজন সারা সন্ধ্যা জুড়ে
রান্না বান্নায় ছিল না মন তোমার একদিন দেখি ডাল পুড়ে ছাই
রান্না ঘরের আশেপাশে আবু নাই
আমি ডাকি, “আবু তুমি কই,ডালের একি দশা”
তোমার চোখ তখন পঁচিশ পাতার পত্রের পঁচিশ শতাংশে ঘোরাফেরা করছে
অলিন্দ নিলয় তোমার উথাল পাতাল নড়ছে
বললে তুমি ধমক দিয়ে , “বিরক্ত কর না হে,
ডাল খেতে চাইলে আর এক পাতিল বসা।“
“আমি এখন ভবে নাই রে তার অভাবে অসার।
মুখে আমার কথা নাই তবে অন্তর জারে জার”।
“আবু মামুন আবু মামুন
কেমন করে রাখতে ধরে, হৃদয় ভরে এমন ভালবাসার গুন।
ওহে আবু সাঈদ মোহাম্মদ মামুন।“
সুপুত্র তুমি, সুদক্ষ বাবা তুমি, সর্বংসহা দাদা
আরো শত গুনের খবর জানেন তোমার অনুপমা রাধা।
“আবু মামুন, আবু মামুন  আমি তোমার মত হবো
অল্প কথায় অল্প কাজে বেশি ফল পাবো
আবু মামুন আবু মামুন আমি তোমার মত হবো
হাজার ঝড় ঝাপ্টার মাঝেও চুপিসারে রবো
আবু মামুন আবু মামুন আমি তোমার মত হবো
সুখের বিলে নাও ভাসিয়ে গভীর নিদ্রায় যাবো
সালাম লহ প্রনাম লহ ওহে প্রেমের অতন্দ্র প্রহরী
ধরণীবাসী ধন্য হোক তোমার তরীকা ধরি
তোমার শুভ জন্মদিনে দিনে এই কামনা করি
শত বছর চলতে থাকুক তোমার জীবন ঘড়ি।“