কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণ ছেড়ে, অমর প্রভাত ফেরি,
ধুলো মাখা পায়ে অতিক্রম করে রাঙ্গা শিমুল বাড়ি।  
চাদর গায়ে আমিনুর স্যার আসেন, কাঁথা গায়ে বনমালী
হাটেন পিছনে আম জনতার সাথে, হাতে শিমুল ফুলের ডালি।
দেশের সীমানা ছেড়ে মাঠ, সমুদ্র,পাহাড় পাড়ি দিয়ে,
প্রভাত ফেরি উপনিত হয় দক্ষিন মেরু প্রান্তরে গিয়ে।

প্রবাসী বাঙালি সারা রাত জেগে গাঁথে, বর্ণফুলের মালা,    
ভোর না হতেই শহীদ মিনারে যেতে, মন থাকে উতলা।
গোটা চত্তরে নানান মানু্‌ষ, যে যেই জাতি বা বর্নেরই হোক
সবাই রয়েছে হেঁট মাথা্য, চোখের মনিতে ভাই হারানোর শোক।
কেউ এনেছে চেরী ফুল সাথে কেউ বা অর্কিডের তোড়া,
রক্ত গোলাপ, বেলী ফুল দিয়ে কাহারো আঁজলা ভরা।  
কি যে শিহরন মনে, গোটা বিশ্ব আজ গাইছে প্রভাত ফেরি,
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো দিন, আমি কি ভুলিতে পারি!”

কৃষ্ণবর্ণের ছেলেটি অবাক বিস্ময়ে জাপানীজ মেয়েটিকে বলে,
“ভাষার জন্য রক্ত দিল যারা, তাঁরা কোন রত্নগর্ভার ছেলে”!
শ্বেতকায় ডেভিডের অটল বিশ্বাস, “যে ভাষা বিশ্ব করেছে জয়,
স্বর্গেও যে সেই ভাষার রাজা, নেই কোন দ্বিধা নেই সংশয়,  
যে বেহেস্তে শুয়ে আছেন শহীদ সালাম ও মা রাফিজা খাতুন,  
হয়তঃ তার দ্বারে লেখা আছে বাংলায়, আপনি ভিতরে আসুন”।


বিদেশী বন্ধুর সুভাষিত শ্রদ্ধাঞ্জলী, বিগলিত মনোভাব,  
আমার অন্তরকে উদ্বেলিত করে, দৃঢ় হয় মনের খোয়াব।
“যতদিন রবে মানুষে মানুষে কথা বিনিময়, ভাবের আনাগোনা
ততদিন জ, আ, ল  দিয়ে চলমান রবে, শব্দের জাল বোনা”।