তোমার অগ্রজের রক্তমাখা  শরিরটা কোলে নিয়ে
বুক ফাটা কান্নার মিছিলে
জন্ম দিয়েছি তোমাকে বারবার
বায়ান্নের একুশে, উনসত্তুরের জানুয়ারী আর একাত্তরের সংগ্রামে
বাতাসে লাসের গন্ধ শুঁকেই আমি গর্ভবতী হয়েছিলাম  হাজারবার।


বিনিময়ে তুমি যোগ্য ছেলের মতই আমাকে রত্নগর্ভা বলে ডেকেছো।
ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে আমার মুক্তির গান গেয়েছো
বেনিয়া বৃটিশদের তাড়িয়েছো,
পশু পাকিস্তানীদের ঝেটিয়ে দূর করেছো
নেড়ি কুত্তাদের মত
আমি মুক্তির উল্লাসে উল্লাসে নেচেছি, লাল সবুজে সেজেছি  
অথচ বিয়াল্লিশ বছর ধরে আমার গায়ের বিষফোঁড়াগুলো
আমাকে বিষিয়ে মেরেছে।
স্বা্ধীনতার শত্রু কুলাঙ্গারগুলো রাজাকারই থেকেছে
একটিবারও অন্তর্জ্বালায় কাঁদেনি।
আমার লাল পার সবুজ শাড়ীর আচঁলটারে ভালবাসেনি
উলটো পাকিস্তানী ভুত তাদের ঘাড় থেকে নামেনি


আবার আমি তোমাকে জন্ম দিলাম শাহবাগের প্রজন্ম চত্তরে
শপথ তোমাকে নিতেই হবে প্রতিবাদী মশালটা উঁচুতে ধরে
ঘাড় থেকে ওদের দেহটা আলাদা করতে হবে
এবার ওদের রক্ত দিয়েই রক্ত মশাল জ্বালাতে হবে  
তবেই আমার আত্না পবিত্রতায় তৃপ্ত হবে
বিশুদ্ধ বাতাসে আমি বুকভরা নিঃশ্বাস নিবো      
আসাদকে কোলে নিয়ে আমি শান্তিতে ঘুমবো।