কোথাও কেউ জেগে নেই, অন্তহীন নীরবতা  
বাতাসের কোন গতি নেই, থমথমে তরুলতা ,
অমাবস্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত গভীর রাত
নক্ষত্রেরাও গুম, আকাশ-জুড়ে মেঘের ছাদ
জোনাকিরা নিভে গেছে অজানা কোন ভয়ে  
আমি ছাড়া সব অজ্ঞান মৃত এই লোকালয়ে
আমার চলমান পদদ্বয় সমগ্র দেহ ,শুভ্র কেশ  
অশরীরীর ছায়া যেন অদ্ভুত আঁধারের অংশবিশেষ  


জানি না কখন ঢুকে পরেছি এই খাস আস্তানায়।
মন্ত্রমুগ্ধের মত হেঁটেই চলেছি অনিশ্চিত নিশানায়
আশপাশ চারপাশ শুধু কবর আর কবরের সারি
মাটি চাপা পরে আছে হরেক রকমের দুনিয়াদারি      
শুয়ে আছে হাবাগোবা ধলা দা, বাগানের মালী,
শুয়ে আছেন সদ্যমৃত খান বাহাদুর সাহেব আলি
সমাহিত সমস্ত শবেরা নিশ্চুপ ,নিঝুম নিরালায়
একই সমতলে ধরিত্রীর কোলে নিঃসঙ্গ বিছানায়


এমন শঙ্কিত সময়ে এমন পুত পবিত্র পাটাতনে
সহসা সম্বিত পেয়ে কেঁপে উঠি শীতল শিহরণে
দু’হাতে জাপটে ধরি শ্বেত শুভ্র এক প্রস্তর ফলক
আকাশের পানে আহাজারি মুখ, ছল ছল চোখ
অন্তর কেঁদে কেঁদে নিস্তেজ মৃত্যু ভয়ে বিচলিত  
কান্নার জলে ধুয়ে গেলো মনের অসুস্থতা যত
“প্রভু,সারা জীবন এই প্রহরের অপেক্ষায় ছিলাম  
আজ আমি কাঙ্ক্ষিত উপাসনালয় খুঁজে পেলাম”।