দূরের জোছনাপাড়ের কোনো গ্রামে
সান্ধ্যরাগের মত বেজে ওঠো তুমি
তার নরোম কোমল আঘাত এসে
বার বার আঘাত হানে হৃদয়ে
হৃদয় তাতে আহত হয় না বরং উৎফুল্লই হয়


এখানে মানুষেরা এখনও ফেরি করে বিবমিষা ভাঁড়ামি ও
ন্যাঁকার স্বভাব
আমি তোমার কাছে চলে যেতে চাই
আমার অনেক ক্ষুধা
আমার অনেক রিরংসা
আমার পথ হারিয়ে গেছে তোমার ঠিকানামাখা খামে


আমি ফিরেছে কত রুগ্ন শহরে দুস্থ বন্দরে
কত কাল ব্যথার কন্দরে লুকিয়ে রেখিছিলাম নিজেকে
পানশালাকে করেছিলাম বাসগৃহ
কিংবা বাসগৃহকেই বানিয়েছিলাম পানশালা
কিন্তু
সুখের জন্য আমি ব্যথাকেই  খুঁজেছি বার বার
হায়
আমি বারাঙ্গনার জলসা থেকেও ফেরৎ এসেছি!


তোমাকে হারিয়েছি, বিরহ করেছি তোমার সঙ্গ
আসঙ্গ ডুবেছি তড়িৎ মৃগয়ার বনে
নীরলে জপেছি তোমার নাম, তোমার নাম
আমি অসংখ্য বদনাম কুড়িয়ে ভরেছি নিজের ঝোলায়
আমি এখন ফেরী করি সেসব নাম!


বাজারে চলছে বেশি বিবমিষা আর ভাঁড়ামি
কী করি,  হরি আল্লাহ যিশু কেউই আমার কথা
শুনে না! আমার সওদা এখানে চলে না...


তুমি উড়ে গেছো দূরে জোছনাপাড়ের গ্রামে
আমিও একদিন পাখি হবো ;
এ আশায় এখনও তোমাকে পেতে দু'হাত পেতে বসে থাকি সোনাই...