চন্দ্রবালা ( ১)



আমাকে স্পর্শ কর ঠোঁটের মাধুর্যে
হে পারাবত নারী
চেতনার লালচক্রিকায় তুমুল ঘষা দাও সজোরে
নেতিয়েপড়া অন্তরাত্মায় ঠোকর বসাও আজ
হে হংসকুমারী
ঝরে যাক সকল রক্তের ক্লেদ ঝরনা ধারার মত অঝোরে


মেঘঘন সন্ধ্যায় ঘনঘন চমকাও নিরেট চুমোর বিজুলি
খসে পড়ুক জরা জঞ্জাল মরিচীকা সব
হৃদয়ে বাজুক আবার আলোর উৎসব
খুলে ফেলো শঙ্কার নিরর্থক কবচ মাদুলি
জ্বেলে দাও হোমশিখা প্রেমানল শিরায়শিরায়
কেটে দাও নৈশব্দ্যের ভয়াল  জাল কথায়কথায়
হৃদয়ের পাতায়পাতায় এঁকে দাও বিভাস গোধূলি


শুনবে কি এ মাতম আমার হে সুন্দর চন্দ্রবালা
আঁধার রাত আমার রাঙবে কি আর তোমার রঙে
জ্বলবে কি তোমার স্বরূপ আবার আমার নিকষ অঙ্গে


চন্দ্রবালা (২)


আকাশ ফেটে ঝরছে কেবল বেদনার  জল
ভেঙেছে মৌনতা বিরহী শ্রাবন
বৃষ্টির মৌতাতে মেতেছে  পবন
ভেসে যায় মেঘেদের সংসার মুছে যায় পাতার কাজল


রাত্রির করপুটে জন্মেছে ঘনপল্লব বনফুল
অগণন পাতাবাহারে  ছেয়ে গেছে বন  
শরমে নুয়েছে পাতা জ্বলছে উতালা মন
দুরুদুরু কাঁপছে আত্মার বসতবাউল


কাঁপছে শিরা-উপশিরা আর ধমণীসকল
খুঁজছে রমণীয় স্পর্শ এ দেহমন
খুঁজছে ঠোঁটের পাতা কম্পিতচুম্বন
কোথায় চন্দ্রবালা পেতে দাও বুকের অঞ্চল