জীবনের সুনিবিড় ব্যাকরণ


//-আজগর আলী-//


তোমাকে স্পর্শ করবো বলে
তৃষ্ণিত জিহ্বার ন্যায় আমি বাড়িয়ে দিই দুটি হাত—
তুমি সুকৌশলে সিটকে পড় আমার মানচিত্র থেকে দেখিয়ে বিবর্ণ অজুহাত—


এভাবে আমার হৃৎপিণ্ডে অশান্তির
ফেনিল ঢেউ তুলে—
কারইবা চার আঙুলজুড়ে এঁকে দিচ্ছো
প্রশান্তির আয়ুরেখা—


কার পাঠশালে তিলেতিলে আওড়িয়ে যাচ্ছো বয়সের অমোঘ নামতা—
আবেহায়াতের সুঘাণ নিয়ে হাওয়ার ব্যাপ্তিতে ছড়িয়ে যাচ্ছো কার দেহ-মন আত্মার
ঠিকানা বরাবর—


রাত সুগভীর হলে কার চোখে চোখ ফেলে
সঙ্গমের সর্পিল ভাষায় তরজমা কর
জীবনের সুনিবিড় ব্যাকরণ—



নিয়তির অমোঘ ইশতেহার


//-আজগর আলী-//


অন্ধকারের হলকুমজুড়ে
বিঁধে আছে একটি জীবন্মৃত প্রাণ—
থেকেথেকে নিশ্বাসের কম্পাসে নড়ে উঠছে
আয়ুর স্থানাঙ্ক—
ধূরন্ধর মহাকাল জীবনের অলক্ষ্যেই
অমোছনিয় কালিতে এঁকে যায়
নিয়তির অমোঘ ইশতেহার—


এমন বেয়াড়া খেলায় যে হারবার সেও জিতে যায়—
যে জেতার সে গো হারে—


জীবনের কি কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই—
সুখের খামেভরা প্রেরিত চিঠিগুলো
অনায়াসে পৌঁছে যেতো ঠিক যেখানে—


জীবন্ময় গান


//—আজগর আলী—//


একদিন তোমার চোখের কাঁটায়
পাখিদের ঠোঁটের ছায়াছবি  বিঁধে গেলো যারা—
তাদের ক্বলবের ভাষাও যে তাই—
এখনই সঙ্গমের প্রাচীন মুদ্রার মত
কিছু একটা সওয়ার হবে তোমাস্বরে—


হাওয়ার চেয়েও নগ্ন এই নীল অর্কেস্টা —
শেষবারের মত বাজিয়ে নাও  
ক্বলবের রঙমহল—
বেতারের সূতোয় বেঁধে নাও পরাজন্মের সুর—


চতুর্দিকে জলের আঙ্গিকে
নান্দনিক কোরাসের মত ছড়িয়ে যাচ্ছে এক পরাঙ্মুখ দরবেশ—
এবার মৃত্যুর চেয়েও নিখুত কোনো মুদ্রায়
নাচিয়ে দাও জীবন্ময় গান—