ছেলেরা বাবাকে নিয়ে তামাসা করে
বাবার মনে ধিকিধিকি জ্বলে ইটের ভাটা,
শীত বর্ষা গ্রীষ্ম কেটেছে অনাহারে অর্ধাহারে
তামাসার স্বীকার বাবা আজ বলির পাঠা!
নদী তীরের তৃণের মত ভেজা চোখে,
বাবার মেনে নিতে হয়নি কভু অবহেলা,
বশীকরণ মন্ত্রে বউ বেঁধেছে ছেলেটারে
বুলেটের আঘাত সম বাক্য কৌশলের খেলা।
একান্ত বাধ্যগত প্রাণপ্রিয় ছেলেটাকে
বাবা থেকে পর,শেষ বয়সে এসে নিরুপায়,
বউ ছেলের কাছে হয়ে যায় বাবা অকর্মা
জীবনের উপার্জণ যেন সব বিলিন সহসায়।
বাবার বুকটা কেঁপে উঠে, সত্যিতো  বলছে,
" অক্ষম, দূর্বল,উপার্জণহীন শুধু বসে খাই,
তাঁর সুখের জন্য বাড়ি গাড়ি জমি জিরাত
সব দিয়েও প্রশ্ন বিদ্য,আমি কিছু করি নাই!"


বাবার হাতে ধরে দেয়া হয় বাজারের থলে
বাবা বলে, " মারে পারবনা বয়সের ভারে,
বউ বলে, "এই শুনছ তোমার বাবার ভীমরতি,
আনতে পারবেন না তিনি বাজার সদাই করে!
আজ বাবা অকেজো অধর্ব আধমরা লাস
তিনি যেন তাদের কাছে প্রবীণ কৃতদাস
এ গ্লানিটুকু বড়ই  আত্মসম্মানের,লজ্জার
এক ভিখারী বেশে থলে হাতে করে হ্যাসফ্যাস।
বাজার এনে দিলেও সেটি হয়না বউমার পছন্দ
পয়সা মেরেছে, অপবাদ দেয়া হয়, "চোর!"
জীবনের সমস্তটুকু উপার্জণ আজ ভেস্তে গেল
চোখের জল শুকিয়ে গেল বাবা ভুঁইফোর।
বুকের ভেতর জমাট বাঁধা কষ্টের পাহাড়,
বিষন্নতা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় আধমরা দম
মৃত্যুর জন্য হাহাকার করে শকুনের জীবন,
ছেলে বলে বাবার আবাস হবে এখন বিদ্যাশ্রম।