হাড়ি (কাব্য- ০১)
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ


শাশুড়ি গেল বাবার বাড়ি বউ ভাঙ্গল হাড়ি,
তাই নিয়ে বাড়াবাড়ি  শাশুরি বউয়ে আড়ি।
শাশুরি এমন কথা কয় বউকোনা পায় ভয়
ভাঙ্গল হাড়ি হায় আজি কি জানি কি হয়?
শাশুড়ির গোটা দেহে রাগ যেমন চিতা বাঘ
ছাগের বাচ্ছা ছাগ তোর বাপ- মারে ডাক।
শাশুড়ির কোমর দোলানী আর দাঁত খিঁচানি
সহ্য করা দারুন কষ্টকর ছেলে মায়ের পরে ভর
কান্না স্বরে বউ মাকে বলে ফোন কলে
ভাংছি  মাটির হাড়ি এবার হবে বাড়াবাড়ি
মেয়ের কথায় তাড়াতাড়ি মা পাঠায় হাড়ি!
শাশুরি এল ঘড়ে  নতুন হাড়ি এল কি করে,
,শাশুরি বেড়ায় শ্লোক মারি বউ বজ্জাতের তাড়ি,
হাড়ি নিয়ে বাড়াবাড়ি শাশুরি বউয়ে আড়ি।
বউকে পাঠায় কৌশল করি বাবার বাড়ি,
ছেলেকে বুঝায় মা হাড়ির বদল হাড়ি মান রইল না।
শাশুড়ি বলে এতই খারাপ আমি হাড়ি কত দামী
সংসারে কষ্টে মরি চাইলনা বউ টাকা কড়ি
মান খাওয়া বউ চাইনা বাবা তার বাবার সাথ কর রফা দফা।
বিদায় দাও তারে এমন বইয়ের জ্বালা বুঝছি হারে হারে।
ভাবিওনা মাগো সবুর কর নতুন বউ আসবে তোমার ঘর।
এই বিয়ের আগেই আমি মাগো বিয়ে করেছি,
তোমাদের বলিনি ওগো মা আমি জানি যা,
ভাঙ্গা হাড়ি ভাংগাই থাক হাটে ভাঙ্গিসনা।